পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কারামাত সম্পর্কে বর্ণনা
৫৯৫৪-[১১] ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। একবার ’উমার (রাঃ) একদল সৈন্য অভিযানে প্রেরণ করলেন। আর সারিয়াহ্ (ইবনু যানীম) নামক এক লোককে সে দলের প্রধান নিযুক্ত করলেন। তখন একদিন ’উমার (রাঃ) মসজিদে নাবাবীতে খুৎবা দিচ্ছিলেন। আকস্মাৎ তিনি খুত্ববার মাঝখানে খুব উচ্চৈঃস্বরে বলে উঠলেন, “হে সারিয়া আল জাবাল!’ এ ঘটনার কয়েকদিন পরে উক্ত সেনাদলের পক্ষ হতে একজন বার্তাবাহক মদীনায় আগমন করে বলল, হে আমীরুল মু’মিনীন! আমরা শত্রুদের মুখোমুখি হলে (প্রথমে) তারা আমাদেরকে পরাজিত করে। এমন সময় হঠাৎ জনৈক ঘোষণাকারীর ’হে সারিয়া আল জাবাল উচ্চ শব্দ শুনতে পাই, তৎক্ষণাৎ আমরা (নিকটস্থ) পাহাড়টিকে পশ্চাতে রেখে শত্রুর সাথে লড়তে থাকি। অবশেষে আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে পরাস্ত করেন। (বায়হাক্বী’র দালায়িলুন নুবুওয়্যাহ্ গ্রন্থে)
اَلْفصْلُ الثَّالِثُ ( بَاب الكرامات)
وَعَن ابْن عمر أَنَّ عُمَرَ بَعَثَ جَيْشًا وَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ رَجُلًا يُدْعَى سَارِيَةَ فَبَيْنَمَا عُمَرُ يَخْطُبُ فَجَعَلَ يَصِيحُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ لَقِيَنَا عَدُوُّنَا فَهَزَمُونَا فَإِذَا بِصَائِحٍ يَصِيحُ: يَا سَارِيَ الْجَبَلَ. فَأَسْنَدْنَا ظُهُورَنَا إِلَى الْجَبَلِ فَهَزَمَهُمُ اللَّهُ تَعَالَى رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي دَلَائِل النُّبُوَّة
اسنادہ ضعیف ، رواہ البیھقی فی دلائل النبوۃ (6 / 380) * فیہ محمد بن عجلان مدلس و عنعن ولہ طرق عند ابن عساکر (تاریخ دمشق 22 / 18 ، 19) وغیرہ و کلھا ضعیفۃ و مرسلۃ ، لا یصح منھا شیٔ و اخطا من صححہ اوحسنہ !
ব্যাখ্যা: এটা ছিল নাহারাওয়ান্দ যুদ্ধের ঘটনা।
(فَبَيْنَمَا عُمَرُ يَخْطُبُ) একদিন ‘উমার (রাঃ) খুৎবা দিচ্ছিলেন। অর্থাৎ, তিনি মাসজিদে নববীতে খুৎবা দিচ্ছিলেন উপস্থিত জনতার সম্মুখে যেখানে বড় বড় সম্মানিত সাহাবী ও তাবিঈগণ ছিলেন। তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উসমান (রাঃ), ‘আলী (রাঃ), ঘটনাটি ছিল তার একটা সুস্পষ্ট কারামাত এবং তার খিলাফাত যে সত্য তার একটা সুস্পষ্ট প্রমাণ।
তিনি যুদ্ধক্ষেত্র দেখে সেনাপতিকে ডেকে বললেন, হে সারিয়াহ্! পাহাড়ের দিকটা দেখ। আর তাকে পিছন দিকে রেখে যুদ্ধ কর। তার এ ডাক সকল যোদ্ধা শুনে সতর্ক হয়ে যুদ্ধ করেছিল। ফলে বিজয় পেয়েছিলেন মুসলিমগণ। (মিরকাতুল মাফাতীহ)