৫৯৫০

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কারামাত সম্পর্কে বর্ণনা

৫৯৫০-[৭] আবূল জাওযা’ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার মদীনাবাসীগণ ভীষণ অনাবৃষ্টির কবলে পতিত হলেন, তখন তাঁরা ’আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর কাছে এ বিপদের কথা উল্লেখ করলেন। তিনি বললেন, তোমরা নবী (সা.) -এর কবরে যাও এবং তাঁর হুজরার ছাদের আকাশের দিকে কয়েকটি ছিদ্র করে দাও, যেন তার এবং আকাশের মাঝখানে কোন আড়াল না থাকে। অতঃপর লোকেরা গিয়ে তাই করল। তাতে প্রবল বৃষ্টি বর্ষণ হলো। এমনকি জমিনে প্রচুর ঘাস জন্মাল এবং উটগুলো খুব মোটাতাজা ও চর্বিদার হয়ে উঠল। এ কারণে লোকেরা সে বছরকে ’আমাল ফাতক (পশুপালের হৃষ্টপুষ্ট হওয়ার বছর) নামে আখ্যায়িত করল। (দারিমী)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ ( بَاب الكرامات)

وَعَنْ أَبِي الْجَوْزَاءِ قَالَ: قُحِطَ أَهْلُ الْمَدِينَةِ قَحْطًا شَدِيدًا فَشَكَوْا إِلَى عَائِشَةَ فَقَالَتْ: انْظُرُوا قبر النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فاجعلوا مِنْهُ كُوًى إِلَى السَّمَاءِ حَتَّى لَا يَكُونَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ السَّمَاءِ سَقْفٌ فَفَعَلُوا فَمُطِرُوا مَطَرًا حَتَّى نَبَتَ الْعُشْبُ وَسَمِنَتِ الْإِبِلُ حَتَّى تَفَتَّقَتْ مِنَ الشَّحْمِ فَسُمِّيَ عَامَ الْفَتْقِ. رَوَاهُ الدَّارِمِيُّ

اسنادہ ضعیف ، رواہ الدارمی (1 / 43 ۔ 44 ح 93) * فیہ عمرو بن مالک النکری ، رواہ عن ابی الجوزاء وقال ابن عدی :’’ یحدث عن ابی الجوزاء ھذا ایضًا عن ابن عباس قدر عشرۃ احادیث غیر محفوظۃ ‘‘ (الکامل 1 / 401 ، نسخۃ أخری 2 / 108) و ھذا جرح خاص فالسند ضعیف معلل ۔
(ضَعِيف)

وعن ابي الجوزاء قال: قحط اهل المدينة قحطا شديدا فشكوا الى عاىشة فقالت: انظروا قبر النبي صلى الله عليه وسلم فاجعلوا منه كوى الى السماء حتى لا يكون بينه وبين السماء سقف ففعلوا فمطروا مطرا حتى نبت العشب وسمنت الابل حتى تفتقت من الشحم فسمي عام الفتق. رواه الدارمي اسنادہ ضعیف ، رواہ الدارمی (1 / 43 ۔ 44 ح 93) * فیہ عمرو بن مالک النکری ، رواہ عن ابی الجوزاء وقال ابن عدی :’’ یحدث عن ابی الجوزاء ھذا ایضا عن ابن عباس قدر عشرۃ احادیث غیر محفوظۃ ‘‘ (الکامل 1 / 401 ، نسخۃ أخری 2 / 108) و ھذا جرح خاص فالسند ضعیف معلل ۔ (ضعيف)

ব্যাখ্যা: যখন মদীনায় অনাবৃষ্টি শুরু হলো তখন লোকজন মা ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) -এর কাছে আসলে তিনি তাদেরকে পরামর্শ দিলেন যে, তারা যেন রাসূল (সা.) -এর কবর এর উপর সামান্য ফাকা করে দেয় যাতে করে সরাসরি আসমান দেখা যায়। বৃষ্টি হওয়ার কারণ স্বরূপ বলা হয়েছে যে, রাসূল (সা.) -এর কবর যখন আসমান দেখল তখন সে তা দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারল না। আকাশ কাঁদতে শুরু করল। আকাশ কাঁদার কথা কুরআন দ্বারা স্বীকৃত বিষয়। মহান আল্লাহ বলেন, (فَمَا بَکَتۡ عَلَیۡهِمُ السَّمَآءُ وَ الۡاَرۡضُ) “আসমান জমিন তাদের জন্য কাঁদেনি”- (সূরাহ আদ দুখান ৪৪: ২৯)।
এখানে কাফিরদের অবস্থার কথা বলা হয়েছে। এর বিপরীত অবস্থা হলো ঈমানদারদের জন্য আসমান ও জমিন কাঁদে।
কথিত আছে যে, আল্লাহর রাসূল (সা.) -এর জীবদ্দশায় তো লোকেরা রাসূল (সা.) -এর পবিত্র সত্তা হতে বৃষ্টির প্রার্থনাকারী হত এখন যেহেতু রাসূল (সা.) -এর মৃত্যু হয়ে গেছে তাই মা ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) নির্দেশ দিয়েছেন যে, কবরের উপর থেকে ছাদ খুলে দেয়া হোক যাতে আল্লাহর রহমত প্রবল হোক এবং ফলশ্রুতিতে পানি বর্ষিত হয়। যেন তিনি বাহ্যিক দৃষ্টিতে কবরকে বৃষ্টি প্রার্থনার মাধ্যম বানিয়েছেন। তবে রাসূল (সা.) -এর কবর উন্মোচনের কারণে তার কবর আর আসমানের মধ্যে কোন ধরনের পর্দা নেই। এর কারণ হলো উক্ত বৃষ্টি প্রার্থনাকে অধিক ফলদায়ক করা এবং দুর্দশাগ্রস্ত মানুষদের অস্থিরতাকে প্রকাশ করা। আর আকাশ তো দু'আর কিবলাহ এবং অভাবীদের খাদ্যের জায়গা। মহান আল্লাহ বলেন, (وَ فِی السَّمَآءِ رِزۡقُکُمۡ وَ مَا تُوۡعَدُوۡنَ) “আর আসমানে তোমাদের রিযক বা খাদ্য আছে”- (সূরাহ আয যা-রিয়া-ত: ২২)। (মিরকাতুল মাফাতীহ, মাযাহিরে হাক্ শারহে মিশকাত ৭ম খণ্ড, ১৮৪-১৮৫ পৃষ্ঠা)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূল জাওযা' (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৯: চারিত্রিক গুণাবলি ও মর্যাদাসমূহ (كتاب الْفَضَائِل وَالشَّمَائِل)