পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কারামাত সম্পর্কে বর্ণনা
৫৯৪৭-[8] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, (হাবশার তথা আবিসিনিয়ার রাজা) নাজাশীএর মৃত্যুর পর আমরা একে অপরের বলাবলি করতাম, তাঁর কবরে সর্বদা আলো দেখা যাচ্ছে। (আবূ দাউদ)
اَلْفصْلُ الثَّنِفْ ( بَاب الكرامات)
عَن عَائِشَة قَالَتْ: لَمَّا مَاتَ النَّجَاشِيُّ كُنَّا نَتَحَدَّثُ أَنَّهُ لَا يَزَالُ يُرَى عَلَى قَبْرِهِ نُورٌ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
اسنادہ حسن ، رواہ ابوداؤد (2523)
ব্যাখ্যা: বর্তমান আফ্রিকার ইথিওপিয়াই ইসলামের ইতিহাসে হাবশাহ্ রাষ্ট্র নামে প্রসিদ্ধ। সে দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের উপাধি ছিল নাজাশী। নাজাশী দ্বারা সেই বাদশাহ উদ্দেশ্য যিনি নবী (সা.) -এর নুবুওয়্যাত প্রাপ্তির সময় স্বীয় দেশের ক্ষমতায় ছিলেন। তিনি ইতোপূর্বে খ্রিষ্টান ধর্মের অনুসারী ছিলেন। অতঃপর রাসূল (সা.) -এর ওপর ঈমান এনে খাঁটি মুসলিম হয়ে যান। তিনি ইসলাম ও মুসলিমদের অনেক সহায়তা করেছিলেন। তিনি রাসূল (সা.) -এর হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিলেন। হাবশায় তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে রাসূল (সা.) খুবই ব্যথিত হন এবং সাহাবায়ে কিরামকে নিয়ে তিনি মদীনায় গায়িবানা জানাযাহ্ আদায় করেন। তাঁর মৃত্যুর পরবর্তী অবস্থার কথা মা আয়িশাহ্ (রাঃ) বর্ণনা করেছেন যে, মদীনাতে এ কথা ছাড়িয়ে পড়েছিল যে, বাদশাহ নাজ্জাশীর কবরে সর্বদা নূর দেখা যাচ্ছে। কেননা যেসব সাহাবী মদীনায় যাওয়া আসা করতেন তারা সেখানে তাঁর কবর দেখে মদীনায় এসে এ সংবাদ দিয়েছিলেন। আর যেহেতু সকল লোকের একটি মিথ্যা কথার উপর একমত হওয়া সম্ভব ছিল না, তাই এ কথা খবরে মুতাওয়াতিরের পর্যায়ের। তবে কথা হলো, নূর দেখা যাচ্ছে দ্বারা উদ্দেশ্য কী? এ প্রসঙ্গে বলা হয় যে, বাহ্যিক দৃষ্টিতে তো মনে হচ্ছে, বাদশাহ নাজ্জাশীর কবরে নূর এমনভাবে স্বচক্ষে পরিদৃষ্ট হচ্ছিল যেমন প্রদীপ, চাঁদ ও সূর্যের আলো পরিদৃষ্ট হয়। তথাপি এ সম্ভাবনাও রয়েছে যে, নূর পরিদৃষ্ট হওয়া মূলত ঐ উজ্বলতা, সতেজতা ও অন্তরের প্রশান্তির ব্যাখ্যা যা উক্ত কবর যিয়ারতকারী অনুভব করে। (মাযাহিরে হাক শারহে মিশকাত ৭ম খণ্ড, ১৮২ পৃষ্ঠা)