৫৯০৯

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - মু'জিযার বর্ণনা

৫৯০৯-[৪২] উক্ত রাবী [আনাস (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন নবী (সা.)-এর নিকট একটি (পানির) পাত্র আনা হলো। তখন তিনি (সা.) (মদীনার) যাওরা” নামক স্থানে ছিলেন। অনন্তর তিনি (সা.) ঐ পাত্রের মাঝে হাত রাখলেন, তখন তার আঙ্গুলগুলোর ফাঁক দিয়ে পানির ফোয়ারা প্রবাহিত হতে লাগল। তখন লোকেরা ঐ পানি দ্বারা উযূ করল। কতাদাহ্ (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, আমি আনাস (রাঃ)-কে প্রশ্ন করলাম, আপনারা সংখ্যায় কতজন ছিলেন? তিনি বললেন, তিনশত জন অথবা তিনশত জনের কাছাকাছি। (বুখারী ও মুসলিম)

الفصل الاول (بَاب فِي المعجزا)

وَعنهُ قا ل: أُتِيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِإِنَاءٍ وَهُوَ بِالزَّوْرَاءِ فَوَضَعَ يَدَهُ فِي الْإِنَاءِ فَجَعَلَ الْمَاءُ يَنْبُعُ مِنْ بَيْنِ أَصَابِعِهِ فَتَوَضَّأَ الْقَوْمُ قَالَ قَتَادَةُ: قُلْتُ لِأَنَسٍ: كَمْ كُنْتُمْ؟ قَالَ: ثلاثمائةٍ أَو زهاءَ ثلاثمائةٍ. مُتَّفق عَلَيْهِ

متفق علیہ ، رواہ البخاری (3572) و مسلم (7 ، 6 / 2279)، (5943 و 5944) ۔
(مُتَّفق عَلَيْهِ)

وعنه قا ل: اتي النبي صلى الله عليه وسلم باناء وهو بالزوراء فوضع يده في الاناء فجعل الماء ينبع من بين اصابعه فتوضا القوم قال قتادة: قلت لانس: كم كنتم؟ قال: ثلاثماىة او زهاء ثلاثماىة. متفق عليه متفق علیہ ، رواہ البخاری (3572) و مسلم (7 ، 6 / 2279)، (5943 و 5944) ۔ (متفق عليه)

ব্যাখ্যা: উক্ত হাদীসে বলা হয়েছে, (أُتِيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِإِنَاءٍ وَهُوَ بِالزَّوْرَاءِ) অর্থাৎ নবী (সা.) -এর কাছে একটি পাত্র নিয়ে আসা হলো। আর তখন তিনি যাওরা নামক স্থানে ছিলেন। (الزَّوْرَاءِ) যাওরা’-এর পরিচয় দিতে গিয়ে মিরকাত প্রণেতা বলেন, এটি হলো দূরবর্তী গভীর একটি কূপের নাম। কেউ কেউ বলেন, এটি হলো মক্কার নিকটবর্তী একটি জায়গা।
ইবনু হাজার (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, এটি হলো মদীনার বাজারের কাছে একটি জায়গা। অভিধানে বলা হয়েছে এটি হলো মদীনায় মসজিদের নিকটবর্তী একটি জায়গা।
(فَجَعَلَ الْمَاءُ يَنْبُعُ مِنْ بَيْنِ أَصَابِعِهِ) অর্থাৎ তখন তাঁর আঙ্গুলগুলো দিয়ে পানি বের হতে শুরু করল। রাসূল (সা.) -এর আঙ্গুল দিয়ে পানি বের হওয়ার বিষয়ে ইমাম নবাবী (রহিমাহুল্লাহ) দুটি পদ্ধতি বর্ণনা করেছেন।
১. সরাসরি তার আঙ্গুল থেকে বের হয়েছে- এটি হলো মুযানী ও অধিকাংশ ‘আলিমদের কথা।
২. আল্লাহ অল্প পানিকে বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, তাই তা তার আঙ্গুলের ফাঁক দিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছিল। তবে দ্বিতীয় মতটিই অধিক শক্তিশালী। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
ফাতহুল বারীতে উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যায় আরো একটি হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে। যা এ হাদীসের ঘটনাটিকে আরো বিস্তারিত বর্ণনা করে দিয়েছে। আর সেই হাদীসটি জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূল (সা.) -এর সাথে সফরে বের হলাম। পথে এক সালাতের সময় হলো। তখন তিনি (সা.) বললেন, লোকেদের কাছে কি পবিত্রতা অর্জন করার পানি নেই।
তারপর একজন লোক পাত্রে অল্প পরিমাণ পানি এনে একটি পেয়ালায় ঢেলে দিলো।
অতঃপর রাসূল (সা.) সেই পানি দিয়ে উযূ করলেন। তারপর লোকেরা অবশিষ্ট পানির কাছে এসে বলতে লাগল, তোমরা মাসেহ করো, তাদের এ কথা শুনে রাসূল (সা.) বললেন, তোমরা থামো! তারপর তিনি তার হাত পাত্রে পানির ভিতর ঢুকিয়ে দিয়ে বললেন, তোমরা পরিপূর্ণভাবে উযূ করো।
জাবির (রাঃ) বলেন, ঐ সত্ত্বার কসম। যিনি আমার দৃষ্টিশক্তি উঠিয়ে নিয়েছেন। অবশ্যই আমি নবী (সা.) -এর আঙ্গুল দিয়ে এমনভাবে পানি বের হতে দেখেছি যে, উপস্থিত সকল সাহাবী তা দিয়ে উযূ করেছেন। সেই পানি আমাদের জন্য যথেষ্ট হয়েছিল। আর আমরা সংখ্যায় ছিলাম দুইশত এরও বেশি। (ফাতহুল বারী হা. ৩৫৮২)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৯: চারিত্রিক গুণাবলি ও মর্যাদাসমূহ (كتاب الْفَضَائِل وَالشَّمَائِل)