পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর নুবুওয়্যাতপ্রাপ্তি ও ওয়াহীর সূচনা
৫৮৪৪-[৮] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদিন হারিস ইবনু হিশাম (রাঃ), রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার কাছে কিভাবে ওয়াহী আসে? রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, ওয়াহী কোন সময় আমার কাছে ঘণ্টার আওয়াজের মতো আসে। আর তাই আমার পক্ষে এটা সর্বাপেক্ষা কঠিন প্রকৃতির ওয়াহী। তবে এ অবস্থায় মালাক (ফেরেশতা) যা বলে তা শেষ হতেই আমি তার কাছ হতে তা আয়ত্ত করে ফেলি। আবার কোন সময় মালাক (ফেরেশতা) আমার কাছে মানুষের আকৃতিতে এসে আমার সাথে কথা বলেন, তিনি যা বলেন আমি তা সাথে সাথেই আয়ত্ত করে ফেলি। আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, মূলত আমি প্রচণ্ড শীতের দিনেও তার ওপর ওয়াহী অবতীর্ণ হতে দেখেছি যখন তার অবসান হত তখন তাঁর কপাল হতে ঘাম ঝরে পড়ত। (বুখারী ও মুসলিম)।
الفصل الاول (بَاب المبعث وبدء الْوَحْي )
وَعَنْ عَائِشَةَ أَنَّ الْحَارِثَ بْنَ هِشَامٍ سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ يَأْتِيكَ الْوَحْيُ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَحْيَانًا يَأْتِينِي مِثْلَ صَلْصَلَةِ الْجَرَسِ وَهُوَ أَشَدُّهُ عَلَيَّ فَيَفْصِمُ عَنِّي وَقَدْ وَعَيْتُ عَنْهُ مَا قَالَ وَأَحْيَانًا يَتَمَثَّلُ لِي الْمَلَكُ رَجُلًا فَيُكَلِّمُنِي فَأَعِي مَا يَقُولُ» . قَالَتْ عَائِشَةُ: وَلَقَدْ رَأَيْتُهُ يَنْزِلُ عَلَيْهِ الْوَحْيُ فِي الْيَوْمِ الشَّدِيدِ الْبَرْدِ فَيَفْصِمُ عَنْهُ وَإِنَّ جَبِينَهُ لَيَتَفَصَّدُ عَرَقًا. مُتَّفق عَلَيْهِ
متفق علیہ ، رواہ البخاری (2) و مسلم (87 ، 86 / 2333)، (6058 و 6059) ۔
(مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)
ব্যাখ্যা: ঐতিহাসিক সুহায়লী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, নবী (সা.) -এর ওপর ওয়াহী বিভিন্নভাবে নাযিল হত- ১. স্বপ্নযোগে ২. অন্তরের মধ্যে ফুঁকের দ্বারা ৩. ঘণ্টার আওয়াজের মতো। আর এটাই ছিল নবী (সা.) - এর জন্য খুবই কষ্টদায়ক। ৪. মালাক (ফেরেশতা) মানুষের আকৃতিতে এসে ওয়াহী দিয়ে যেতেন। ৫. জিবরীল আলায়হিস সালাম তাঁর ছয়শত পালকবিশিষ্ট আসল আকৃতিতে আগমন করতেন। ৬. আল্লাহ তা'আলা পর্দার আড়ালে থেকে কথাবার্তার মাধ্যমে ওয়াহী প্রদান করতেন ইত্যাদি। (সম্পাদকীয়)