৫৮৩৬

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর স্বভাব-চরিত্রের বর্ণনা

৫৮৩৬-[৩৬] অপর এক বর্ণনায় আছে, ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, উল্লিখিত কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সা.) জিবরীল (আঃ)-এর দিকে তাকালেন, যেন তিনি তাঁর কাছে পরামর্শ চাচ্ছেন। তখন জিবরীল (আঃ) হাতে ইশারা করলেন যে, আপনি বিনয় গ্রহণ করুন। কাজেই উত্তরে বললাম, আমি নবী এবং বান্দা হয়ে থাকতে চাই। আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, এরপর হতে রাসূলুল্লাহ (সা.)! আর কখনো হেলান দিয়ে খেতেন না; বরং তিনি বলতেন, আমি সেভাবে খানা খাব, যেভাবে একজন দাস খায় এবং সেভাবে বসব যেমনিভাবে একজন দাস বসে। (শারহুস সুন্নাহ্)

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَابٌ فِي أَخْلَاقِهِ وَشَمَائِلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم)

وَفِي رِوَايَة ابْن عبَّاسٍ: فَالْتَفَتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى جِبْرِيلَ كَالْمُسْتَشِيرِ لَهُ فَأَشَارَ جِبْرِيلُ بِيَدِهِ أَنْ تَوَاضَعْ. فَقُلْتُ: «نَبِيًّا عَبْدًا» قَالَتْ: فَكَانَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدُ ذَلِكَ لَا يَأْكُلُ متكأ يَقُولُ: «آكُلُ كَمَا يَأْكُلُ الْعَبْدُ وَأَجْلِسُ كَمَا يَجْلِسُ العبدُ» رَوَاهُ فِي «شرح السّنة»

اسنادہ ضعیف ، رواہ البغوی فی شرح السنۃ (13 / 248 ۔ 249 ح 3684) [و ابو الشیخ فی اخلاق النبی صلی اللہ علیہ و آلہ وسلم (ص 198)] * بقیۃ لم یصرح بالسماع و الزھری مدلس و عنعن و محمد بن علی بن عبداللہ بن عباس : لم یسمع من جدہ ۔
(ضَعِيف)

وفي رواية ابن عباس: فالتفت رسول الله صلى الله عليه وسلم الى جبريل كالمستشير له فاشار جبريل بيده ان تواضع. فقلت: «نبيا عبدا» قالت: فكان رسول الله صلى الله عليه وسلم بعد ذلك لا ياكل متكا يقول: «اكل كما ياكل العبد واجلس كما يجلس العبد» رواه في «شرح السنة» اسنادہ ضعیف ، رواہ البغوی فی شرح السنۃ (13 / 248 ۔ 249 ح 3684) [و ابو الشیخ فی اخلاق النبی صلی اللہ علیہ و آلہ وسلم (ص 198)] * بقیۃ لم یصرح بالسماع و الزھری مدلس و عنعن و محمد بن علی بن عبداللہ بن عباس : لم یسمع من جدہ ۔ (ضعيف)

ব্যাখ্যা: রাসূলুল্লাহ (সা.) জিবরীল-কে লক্ষ্য করলে তিনি ইশারা করেন অর্থাৎ মাটির দিকে ইশারা করেন। তাতে নবী (সা.) বুঝে নেন যে, তিনি তাকে দাসত্বের প্রতি নির্দেশ করছেন। ফলে নবী (সা.) দারিদ্রতা ও দাসত্বকে বাছাই করেন। যাতে আল্লাহর নিকট তার মর্যাদা বেশি হয়। তিনি বাদশাহিত্ব ও ধন-সম্পদ চাননি কারণ এতে সীমালঙ্ঘন ও ভুলে যাওয়ার মতো অপরাধ ঘটে যেতে পারে। তাছাড়া অহংকার ও কুফরী (নি'আমাতের কুফরী) হয়ে যেতে পারে। তার তিনি এজন্যই দারিদ্রতাকে বেছে নিয়েছেন। আর এ কারণেই অধিকাংশ নবী, ওলী-আওলিয়া, ‘উলামা ও সৎব্যক্তিবর্গ নিজেদের জন্য দারিদ্র্যতাকে পছন্দ করেছিলেন। আল্লাহ আমাদেরকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন এবং তাদের সাথে পরকালে একত্রিত করুন।
(তিনি হেলান দিয়ে বসে খেতেন না) অর্থাৎ অধিকাংশ ব্যাখ্যাকারগণ ব্যাখ্যা করেছেন যে, হেলান দেয়া হলো কোন এক পাশে ভর দিয়ে হেলে বসা। কারণ এতে খেতে অসুবিধা হয়। এতে খাবার পেটে যেতে বাধা সৃষ্টি করে। কাযী ‘ইয়ায (রহিমাহুল্লাহ) এভাবে বর্ণনা করেছেন। আবার কেউ কেউ ব্যাখ্যা করেছেন, হেলান দিয়ে বসা হলো আসন পেতে বসা। কারণ এভাবে খেলে বেশি খাওয়া যায়।
(আমি দাসের মতো খাই) অর্থাৎ এতে খাবার বেশি করে চিবাতে সহজ হয়।
(আমি দাসের মতো বসি) অর্থাৎ দুই হাঁটুতে ভর করে সালাতে বসার মতো। আর এটাই উত্তম পদ্ধতি। অথবা খাওয়ার সময় এক হাঁটু উঁচু করে অথবা অন্যভাবে। অথবা দুই হাঁটু উঁচু করে ইহতিবার বসার মতো। সালাত ব্যতীত নবী (সা.) বেশির ভাগ সময়ে এভাবে বসতেন। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৯: চারিত্রিক গুণাবলি ও মর্যাদাসমূহ (كتاب الْفَضَائِل وَالشَّمَائِل)