পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর স্বভাব-চরিত্রের বর্ণনা
৫৮৩১-[৩১] ’আমর ইবনু সা’ঈদ (রহিমাহুল্লাহ) আনাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, সন্তান-সন্ততির প্রতি অত্যধিক স্নেহ-মমতা পোষণকারী রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর চেয়ে বেশি আমি আর কাউকে দেখেনি। তাঁর পুত্র ইবরাহীম (রাঃ) মদীনার উঁচু প্রান্তে (এক মহল্লায়) ধাত্রী মায়ের কাছে দুধপান করত। তিনি প্রায়শ সেথায় গমন করতেন এবং আমরাও তাঁর সাথে যেতাম। তিনি (সা.) উক্ত গৃহে প্রবেশ করতেন, অথচ সে গৃহটি ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকত। কারণ ইবরাহীম (রাঃ)-এর ধাত্রী মায়ের স্বামী ছিল একজন কামার। রাসূল (সা.) ইবরাহীমকে কোলে তুলে নিতেন এবং আদর করে চুমু দিতেন, এরপর চলে আসতেন। বর্ণনাকারী ’আমর বলেন, যখন ইবরাহীম (রাঃ) -এর মৃত্যু হয়ে গেল, তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, ইবরাহীম আমার পুত্র। সে দুগ্ধ (পানের) বয়সে মৃত্যুবরণ করেছে। অতএব জান্নাতে তার জন্য দু’জন ধাত্রী রয়েছে, যারা তাকে দুগ্ধ পানের মুদ্দাত জান্নাতে পূর্ণ করবে। (মুসলিম)
اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَابٌ فِي أَخْلَاقِهِ وَشَمَائِلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم)
عَنْ عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ عَنْ أَنَسٍ قَالَ: مَا رَأَيْتُ أَحَدًا كَانَ أَرْحَمَ بِالْعِيَالِ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِبْرَاهِيمُ ابْنُهُ مُسْتَرْضَعًا فِي عَوَالِي الْمَدِينَةِ فَكَانَ يَنْطَلِقُ وَنَحْنُ مَعَهُ فَيَدْخُلُ الْبَيْتَ وَإِنَّهُ لَيُدَّخَنُ وَكَانَ ظِئْرُهُ قَيْنًا فَيَأْخُذُهُ فَيُقَبِّلُهُ ثُمَّ يَرْجِعُ. قَالَ عَمْرٌو: فَلَمَّا تُوُفِّيَ إِبْرَاهِيمُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ إِبْرَاهِيمَ ابْنِي وَإِنَّهُ مَاتَ فِي الثَّدْيِ وَإِنَّ لَهُ لَظِئْرَيْنِ تُكْمِلَانِ رَضَاعَهُ فِي الْجَنَّةِ» . رَوَاهُ مُسْلِمٌ
رواہ مسلم (63 / 2316)، (6026) ۔
(صَحِيح)
ব্যাখ্যা: (إِنَّ إِبْرَاهِيمَ ابْنِي) অর্থাৎ মিসর ও ইসকানদারিয়্যাহ্-এর রাজা মুকাউকিস মারিয়াহ্ কিবতী বংশীয়া একটি দাসীকে নবী (সা.) -কে হাদিয়াহ্ বা উপহার দেন। ইবরাহীম-এর মা ছিলেন সেই মারিয়াহ। তাই রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, ইবরাহীম আমার পুত্র। ইবরাহীম ৮ম হিজরীর যিলহজ্জ মাসে জন্মলাভ করেন। সে দুধপান করা অবস্থায় ১৬ বা ১৭ মাস বয়সে মারা যায়। তখনো তার দুধ ছাড়ার বয়স হয়নি। তাই নবী (সা.) বললেন, তাকে জান্নাতে দু'জন ধাত্রী দুধ পান করাবেন। (মিরকাতুল মাফাতীহ)