পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর স্বভাব-চরিত্রের বর্ণনা
৫৮২৮-[২৮] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমরা যেভাবে অনর্গল বিরতিহীন কথাবার্তা বল, রাসূলুল্লাহ (সা.) ঐরূপভাবে কথা বলতেন না; বরং তিনি প্রতিটি বাক্যকে পৃথক পৃথকভাবে বলতেন। ফলে যে লোক তাঁর কাছে বসত, সে তা স্মরণ রাখতে পারত। (তিরমিযী)
اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَابٌ فِي أَخْلَاقِهِ وَشَمَائِلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم)
وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: مَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْرُدُ سَرْدَكُمْ هَذَا وَلَكِنَّهُ كَانَ يَتَكَلَّمُ بِكَلَامٍ بَيْنَهُ فَصْلٌ يَحْفَظُهُ من جَلَسَ إِلَيْهِ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
صحیح ، رواہ الترمذی (3639 وقال : حسن صحیح) ۔
(إِسْنَاده جيد)
ব্যাখ্যা: নবী (সা.) খুব স্পষ্ট ভাষায় ধীরে ধীরে কথা বলতেন। যাতে তার পাশে থাকা শ্রোতা তার কথা বুঝতে কোন সমস্যায় না পড়ে। তারা তার কথা শুনে তা হিফাযত করতে পারত।
সাধারণ মানুষ যেভাবে তাড়াতাড়ি একটার পর একটা কথা ধারাবাহিকভাবে বলে যায় রাসূলুল্লাহ (সা.) তা করতেন না। কথা বলার সময় রাসূলুল্লাহ (সা.) সময় নিয়ে আস্তে আস্তে বলতেন। কথা বলার সময় তিনি (সা.) বাক্যের মাঝে পার্থক্য করতেন। যাতে তার শ্রোতাদের তার কথা বুঝতে কোন অসুবিধা না হয়। (সম্পাদকীয়)