পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর স্বভাব-চরিত্রের বর্ণনা
৫৮১৭-[১৭] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে যখনই দুটি ব্যাপারে ইখতিয়ার দেয়া হয়েছে, তখন তিনি উভয়টির মধ্যে যেটি সহজতর সেটি গ্রহণ করেছেন। তবে এই শর্তে যে, সেটি যেন কোন প্রকারের গুনাহের কাজ না হয়। তবে যদি তা গুনাহের কাজ হত, তাহলে তিনি (সা.) তা হতে সকলের চেয়ে অনেক দূরে সরে থাকতেন। আর রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজের কোন ব্যাপারে কখনো প্রতিশোধ গ্রহণ করেননি। তবে কেউ যদি আল্লাহর নিষিদ্ধ কোন কাজ করে ফেলত, তখন আল্লাহর লক্ষ্যে (তার নিকট হতে) প্রতিশোধ গ্রহণ করতেন। (বুখারী ও মুসলিম)
الفصل الاول (بَابٌ فِي أَخْلَاقِهِ وَشَمَائِلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم)
وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: مَا خُيِّرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ أَمْرَيْنِ قَطُّ إِلَّا أَخَذَ أَيْسَرَهُمَا مَا لَمْ يَكُنْ إِثْمًا فَإِنْ كَانَ إِثْمًا كَانَ أَبْعَدَ النَّاسِ مِنْهُ وَمَا انْتَقَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِنَفْسِهِ فِي شَيْءٍ قَطُّ إِلَّا أَنْ يُنتهك حرمةُ الله فينتقم لله بهَا. مُتَّفق عَلَيْهِ
متفق علیہ ، رواہ البخاری (3560) و مسلم (77 / 2327)، (6045) ۔
(مُتَّفق عَلَيْهِ)
ব্যাখ্যা: রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে দুটি কাজের ইখতিয়ার দেয়া হলে তিনি সহজ কাজটি গ্রহণ করতেন যদি সে কাজটি কোন গুনাহের কাজ না হত। আর যদি কোন পাপের কাজ হত তাহলে তা থেকে তিনি (সা.) মানুষকে বিরত থাকার দিক-নির্দেশনা প্রদান করতেন কাজটি যতই কঠিন হোক না কেন।
আর তিনি (সা.) ব্যক্তিগত কোন বিষয়ে কারো থেকে প্রতিশোধ নিতেন না। কেউ কোন শাস্তিযোগ্য অপরাধ করলে আল্লাহর বিধানে তার যে শাস্তি হয় তিনি (সা.) তাকে সে শাস্তি প্রদান করতেন। আল্লামাহ্ ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, কেউ তার সাথে ব্যক্তিগতভাবে কোন অন্যায় করলে তিনি (সা.) তাকে শাস্তি দিতেন না। তবে কেউ আল্লাহর নিষিদ্ধ কোন হারাম কাজ করলে তিনি (সা.) তাঁর বিধানে যে শাস্তি আছে তা বাস্তবায়ন করতেন। যেমন- মহান আল্লাহর বাণী- “আর আল্লাহর বিধান বাস্তবায়ন করতে যেয়ে তোমাদের অন্তরে যেন কোন মায়া না জন্মে”- (সূরা আন নূর ২৪: ০২)।
ইবনু হাজার আল আসক্বালানী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, এর অর্থ হলো তিনি ব্যক্তিগত কোন প্রয়োজনে কারো থেকে কোন প্রতিশোধ গ্রহণ করেননি। তাই তো তিনি উকবাহ্ ইবনু আবূ মু'ঈত্ব, ‘আবদুল্লাহ ইবনু খতুল ও অন্যান্য যারা তাকে কষ্ট দিয়েছিল তাদের হত্যার আদেশকে তিনি ফিরিয়ে নেননি। কারণ তারা এ অপরাধের পাশাপাশি আল্লাহর হারাম কাজেও জড়িয়ে পড়েছিল। কথিত আছে, তারা নবী (সা.) -কে গালি দেয়া ছাড়াও কুফরীতে জড়িয়ে পড়েছিল। যদিও কথিত আছে, বিষয়টি সম্পদের সাথে নির্দিষ্ট ছিল। (মিরকাতুল মাফাতীহ)