৫৮১৩

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর স্বভাব-চরিত্রের বর্ণনা

৫৮১৩-[১৩] আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সা.) কোন কিছু অপছন্দ করতেন, তখন তার চেহারায় আমরা তার পরিচয় পেতাম। (বুখারী ও মুসলিম)

الفصل الاول (بَابٌ فِي أَخْلَاقِهِ وَشَمَائِلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم)

وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَشَدَّ حَيَاءً مِنَ الْعَذْرَاءِ فِي خِدْرِهَا فَإِذَا رَأَى شَيْئًا يَكْرَهُهُ عَرَفْنَاهُ فِي وَجْهِهِ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ

متفق علیہ ، رواہ البخاری (6102) و مسلم (67 / 2320)، (6032) ۔
(مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

وعن ابي سعيد الخدري قال: كان النبي صلى الله عليه وسلم اشد حياء من العذراء في خدرها فاذا راى شيىا يكرهه عرفناه في وجهه. متفق عليه متفق علیہ ، رواہ البخاری (6102) و مسلم (67 / 2320)، (6032) ۔ (متفق عليه)

ব্যাখ্যা: হাদীসের শেষাংশের অর্থ হলো, যখন রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর সামনে এমন কোন বিষয় ঘটে যা স্বভাবগতভাবে অপছন্দনীয় কিংবা শারী'আত পরিপন্থী হওয়ার কারণে রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর মেজাজবিরোধী হয় তাহলে উক্ত অপছন্দনীয়তার প্রভাবে চেহারায় তৎক্ষণাৎ পরিবর্তন হয়ে যেত আর আমরা সে পরিবর্তন লক্ষ করে রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর অপছন্দনীয়তা সম্পর্কে অবগত হয়ে তার প্রতিকারের চেষ্টা করতাম, ফলে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর চেহারা হতে অপছন্দনীয়তার প্রভাব বিলুপ্ত হত এবং এরূপ মনে হত যেন তিনি একেবারে রাগই করেননি। কিন্তু এ ব্যাপারটি ঐ ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হত যখন মেজাজবিরোধী ব্যাপারটির সম্পর্কে কোন স্বভাবগত বিষয় হত কিংবা কোন এমন শারঈ বিষয় হত যাতে লিপ্ত হওয়া হারাম ও নাজায়িয নয়; বরং মাকরূহ হত।
ইমাম নবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, যে মেজাজবিরোধী বিষয় ঘটত অধিক লজ্জার কারণে রাসূলুল্লাহ (সা.) তার বিরূদ্ধে অপছন্দনীয়তার প্রকাশ মুখ দ্বারা করতেন না; বরং তার প্রভাব রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর চেহারায় প্রকাশ পেত। অতএব সাহাবায়ে কেরাম এবং রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর চেহারার পরিবর্তন লক্ষ্য করে তার অপছন্দনীয়তা এ অসন্তুষ্টি জানতে পারতেন। (মিরকাতুল মাফাতীহ)

এ হাদীসের মাধ্যমে কেবল লজ্জা-শরমের শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ পায় না; বরং এ শিক্ষাও পাওয়া যায় যে, এ গুণটি নিজের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্জন করা উচিত যাতে করে শারঈ ও মানবীয় কোন বিধান পালনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয় এবং কোন প্রকারের ক্ষতি সাধনের আশঙ্কা না হয়।
(মাযাহিরে হাক শারহে মিশকাত ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ৬২)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৯: চারিত্রিক গুণাবলি ও মর্যাদাসমূহ (كتاب الْفَضَائِل وَالشَّمَائِل)