পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবীকুল শিরোমণি -এর মর্যাদাসমূহ
৫৭৭০-[৩২] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী (সা.) বলেছেন: যাবতীয় উত্তম চরিত্র ও উত্তম কার্যাবলি পরিপূর্ণ করার জন্যই আল্লাহ তা’আলা আমাকে পাঠিয়েছেন। (শারহুস্ সুন্নাহ্)
اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَابُ فَضَائِلِ سَيِّدِ الْمُرْسَلِينَ)
وَعَنْ جَابِرٌ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قا ل: «إِنَّ اللَّهَ بَعَثَنِي لِتَمَامِ مَكَارِمِ الْأَخْلَاقِ وَكَمَالِ محَاسِن الْأَفْعَال» . رَوَاهُ فِي شرح السّنة
اسنادہ ضعیف ، رواہ البغوی فی شرح السنۃ (13 / 202 ح 3622) * یوسف بن محمد بن المنکدر : ضعیف ولہ شاھد عند احمد (2 / 381) :’’ انما بعثت لاتمم صالح الاخلاق ‘‘ و صححہ الحاکم (2 / 613) و وافقہ الذھبی و سندہ ضعیف (تقدم فی تخریج : 5096 ۔ 5097) ۔
(ضَعِيف)
ব্যাখ্যা: (لِتَمَامِ مَكَارِمِ الْأَخْلَاقِ) আল্লাহ তা'আলা মুহাম্মাদ (সা.) -কে রাসূল বানিয়ে এ উদ্দেশে প্রেরণ করেছেন, যেন তিনি আল্লাহর বান্দাদেরকে বাহ্যিক চরিত্র ও অভ্যন্তরীণ চরিত্রকে পরিবর্তন করে তাদেরকে সুন্দর জীবনযাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তাদেরকে সঠিক পথের দিকে দিক-নির্দেশনা দিলে তারা তা সুন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে তা গ্রহণ করবে।
(كَمَالِ محَاسِن الْأَفْعَال) রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে প্রেরণ করার আরেকটি উদ্দেশ্য হলো তিনি মানুষদেরকে শিক্ষা দিবেন যে, কিভাবে তারা উত্তমরূপে ‘ইবাদত, লেন-দেন করবে।
ইবনুল মালিক (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে পৃথিবীতে প্রেরণ করা হয়েছে বান্দাদেরকে উত্তম চরিত্র সম্পর্কে অবগত করার জন্য এবং তাদের কার্যাবলী সুচারুরূপে পরিপূর্ণ করার জন্য।
রাসূলুল্লাহ (সা.) উত্তম চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। এই মর্মে মহান আল্লাহ তা'আলা বলেছেন, (وَ اِنَّکَ لَعَلٰی خُلُقٍ عَظِیۡمٍ) “এবং তুমি অবশ্যই মহান চরিত্রের অধিকারী।” (সূরা আল কলাম ৬৮ : ৪)
উত্তম চরিত্রের কিছু উদাহরণ উপস্থাপনা করা হলো সততা, ভদ্রতা, নম্রতা, দয়া-দাক্ষিণ্য, বিশ্বস্ততা, দানশীলতা, ক্ষমা করা ইত্যাদি। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)