পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - নবীকুল শিরোমণি -এর মর্যাদাসমূহ
রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর মর্যাদা, তার উত্তম গুণাবলি, তার বদান্যতা ও শ্রেষ্ঠত্বের বিস্তারিত বিবরণ গণনা করা ও আয়ত্ব করা সম্ভব নয়, বরং তা গুণে শেষ করা যাবে না। তবে লেখক এখানে রাসূলের মর্যাদা অধ্যায় রচনার উদ্দেশ্য তাঁর মর্যাদা ও ফযীলতের কিছু দিক তুলে ধরেছেন যাতে এগুলোর মাধ্যমে অন্যগুলো উপলব্ধি করা যায়।
৫৭৩৯-[১] আবু হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আমি আদম আলায়হিস সালাম-এর সন্তানদের প্রত্যেক যুগের উত্তম শ্রেণিতে যুগের পর যুগ স্থানান্তরিত হয়ে এসেছি। সবশেষে ঐ যুগে জন্মগ্রহণ করি, যে যুগে আমি বর্তমানে আছি। (বুখারী)
الفصل الاول (بَابُ فَضَائِلِ سَيِّدِ الْمُرْسَلِينَ)
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بُعِثْتُ مِنْ خَيْرِ قُرُونِ بَنِي آدَمَ قَرْنًا فَقَرْنًا حَتَّى كُنْتُ من القرنِ الَّذِي كنتُ مِنْهُ» . رَوَاهُ البُخَارِيّ
رواہ البخاری (3557) ۔
(صَحِيح)
ব্যাখ্যা: (مِنْ خَيْرِ قُرُونِ) “সর্বোত্তম যুগে”; এ হাদীসে সর্বোত্তমের অর্থ এবং পরবর্তী হাদীসে নির্বাচিত হওয়ার অর্থ গোত্র হিসেবে উত্তম ও নির্বাচিত। ধর্মীয় গুণাবলি হিসেবে নয়। বরং অন্যান্য প্রশংসনীয় গুণের ক্ষেত্রে। (قُرُونِ) শব্দটি (قَرْنٌ)-এর বহুবচন। একই সময়ের মানুষকে এক কারন বা এক যুগের মানুষ বলে। রাসূলুল্লাহ (সা.) একটি হাদীসে বলেন, (خَيْرُ النَّاسِ قَرْنِيْ)“সর্বোত্তম মানুষ আমার যুগের মানুষ।” (সহীহুল বুখারী হা, ২৬৫২, ৩৬৫১)
শারহুস সুন্নাহয় লিখেন, এক সময়ে বসবাসকারী মানুষকে এক কালের মানুষ বলা হয়। আবার কারো কারো মতে, (قَرْنٌ) আশি বছর সময়কাল। আবার কারো কারো মতে (قَرْنٌ) চল্লিশ বছরের সময়কাল। আবার কারো কারো মতে (قَرْنٌ) একশত বছরের সময়কাল। তবে এখানে প্রথম মত উদ্দেশ্য।
অতএব হাদীসের মর্ম, আদম সন্তানের এক যুগের পর আরেক যুগে বসবাসকারী মানুষের স্তরের মাঝে আমি যে যুগে এসেছি সেটা সর্বোত্তম।
তাই হাদীসে অন্যদের ওপর রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর মর্যাদা এবং অন্যান্য উম্মাতের ওপর তাঁর উম্মাতের মর্যাদা প্রকাশ পেয়েছে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)।