পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - জাহান্নাম ও জাহান্নামীদের বর্ণনা
৫৬৬৫-[১] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: তোমাদের (ব্যবহৃত) আগুনের উত্তাপ জাহান্নামের আগুনের সত্তর অংশের এক অংশ মাত্র। বলা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! (জাহান্নামীদের শাস্তিদানের জন্য) দুনিয়ার আগুন তো যথেষ্ট ছিল। তিনি (সা.) বললেন, দুনিয়ার আগুনের উপর তার সমপরিমাণ তাপসম্পন্ন জাহান্নামের আগুন আরো ঊনসত্তর ভাগ বর্ধিত করা হয়েছে। (বুখারী ও মুসলিম)
উল্লিখিত হাদীসটির শব্দগুলো বুখারীর। আর মুসলিম-এর বর্ণনার শব্দ হলো- (نَارُكُمُ الَّتِي يُوقِدُ ابْنُ آدَمَ) তোমাদের (ব্যবহৃত) আগুন যা আদম সন্তান প্রজ্বলিত করে এবং তার বর্ণনায় «عَلَيْهَا» و «كلهَا» এ শব্দ দু’টির পরিবর্তে «عَلَيْهِنَّ» و «كُلهنَّ» উল্লেখ রয়েছে।
الفصل الاول (بَاب صفةالنار وَأَهْلهَا)
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «نَارُكُمْ جُزْءٌ مِنْ سَبْعِينَ جُزْءًا مِنْ نَارِ جَهَنَّمَ» قِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنْ كَانَتْ لَكَافِيَةً قَالَ: «فُضِّلَتْ عَلَيْهِنَّ بِتِسْعَةٍ وَسِتِّينَ جُزْءًا كُلُّهُنَّ مِثْلُ حَرِّهَا» . مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ. وَاللَّفْظُ لِلْبُخَارِيِّ. وَفِي رِوَايَةِ مُسْلِمٍ: «نَارُكُمُ الَّتِي يُوقِدُ ابْنُ آدَمَ» . وَفِيهَا: «عَلَيْهَا» و «كلهَا» بدل «عَلَيْهِنَّ» و «كُلهنَّ»
متفق علیہ ، رواہ البخاری (3265) و مسلم (30 / 2843)، (7165) ۔
(مُتَّفق عَلَيْهِ)
ব্যাখ্যা: (نَارُكُمْ جُزْءٌ مِنْ سَبْعِينَ جُزْءً) ইমাম গাজালী (রহিমাহুল্লাহ) “ইয়াহইয়াউ উলুমিদ্দীন”-এ বলেন, তুমি জান যে তুমি অনুমান করতে ভুল করবে। কেননা দুনিয়ার আগুন দিয়ে জাহান্নামের আগুন অনুমান করা যাবে না। কিন্তু দুনিয়াতে যেহেতু এই আগুনের শাস্তিকেই সবচেয়ে কঠিন শাস্তি মনে করা হয়। তাই এই আগুন দিয়েই উদাহরণ দেয়া হয়েছে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
(مِنْ سَبْعِينَ) এখানে সংখ্যাটাই মূল উদ্দেশ্য নয় বরং তাপমাত্রার আধিক্যতা হলো মূল উদ্দেশ্য, অন্য আরেক বর্ণনায় একশত গুণের কথা বলা হয়েছে। (ফাতহুল বারী হা. ৩৭৩)
‘আল্লামাহ্ ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা.) দুনিয়ার আগুনের উপরে জাহান্নামের আগুনের শ্রেষ্ঠত্ব উক্ত আয়াত দ্বারা পুনরাবৃত্তি করলেন এজন্য যে, দুনিয়ার আগুনটা মূলতপক্ষে জাহান্নামের আগুনের কোন অংশ নয়, বরং একটা উদাহরণমাত্র, কেননা মাখলুকের ‘আযাব যদি এত ভয়ঙ্কর হয় তাহলে খালিকের ‘আযাব আরো কত ভয়ঙ্কর হবে? (তুহফাতুল আহওয়াযী হা. ৫০০, ২৫৮৯; ফাতহুল বারী হা. ৩২৬৫)।