৫৬৪৪

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জান্নাত ও জান্নাতবাসীদের বিবরণ

৫৬৪৪-[৩৩] বুরয়দাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: জান্নাতাবাসীদের একশত বিশ কাতার হবে। তন্মধ্যে আশি কাতার হবে এই উম্মতের আর অবশিষ্ট চল্লিশ কাতার হবে অন্যান্য উম্মতের। (তিরমিযী, দারিমী ও বায়হাকী’র “কিতাবুল বাসি ওয়ান্ নুশূর”)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَاب صفةالجنة وَأَهْلهَا)

وَعَنْ بُرَيْدَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَهْلُ الْجَنَّةِ عِشْرُونَ وَمِائَةُ صَفٍّ ثَمَانُونَ مِنْهَا مِنْ هَذِهِ الْأُمَّةِ وَأَرْبَعُونَ مِنْ سَائِرِ الْأُمَمِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالدَّارِمِيُّ وَالْبَيْهَقِيُّ فِي كتاب الْبَعْث والنشور

حسن ، رواہ الترمذی (2546 وقال : حسن) و الدارمی (2 / 337 ح 2838) و البیھقی فی البعث و النشور (لم اجدہ) [و صححہ ابن حبان (الموارد : 2639) و الحاکم علی شرط مسلم (2 / 81 ۔ 82) و وافقہ الذھبی] ۔
(صَحِيح)

وعن بريدة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «اهل الجنة عشرون وماىة صف ثمانون منها من هذه الامة واربعون من ساىر الامم» . رواه الترمذي والدارمي والبيهقي في كتاب البعث والنشور حسن ، رواہ الترمذی (2546 وقال : حسن) و الدارمی (2 / 337 ح 2838) و البیھقی فی البعث و النشور (لم اجدہ) [و صححہ ابن حبان (الموارد : 2639) و الحاکم علی شرط مسلم (2 / 81 ۔ 82) و وافقہ الذھبی] ۔ (صحيح)

ব্যাখ্যা: উক্ত হাদীসে এই উম্মাতের সংখ্যার আধিক্যতা বুঝানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, জান্নাতবাসীরা একশত বিশ কাতার হবে। এর মাঝে উম্মতে মুহাম্মাদী আশি কাতার, আর অন্যান্য জাতি ৪০ কাতার। ইমাম ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, আল্লাহর রাসূল (সা.) -এর উক্ত হাদীস এবং তার থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেন, আমি আশা করি তোমরা জান্নাতের এক-চতুর্থাংশ হবে। এরপরে তিনি (সা.) আবার বলেছেন যে, আমি আশা করি তোমরা জান্নাতের এক-তৃতীয়াংশ হবে। এরপর তিনি (সা.) বলেছেন, আমি আশা করি তোমরা জান্নাতের অর্ধেক হবে। এই হাদীসের মাঝে কি সমাধান হবে?
ইমাম ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) উক্ত দুই হাদীসের সমাধানে বলেন, সম্ভবত ঐ আশি কাতারই সংখ্যার দিক থেকে চল্লিশ কাতারের সমান হবে। আর (ثلث)(ربع) এরপর যে বলা হয়েছে, (نِصْفَ أَهْلُ الْجَنَّةِ) তোমরা জান্নাতের অর্ধেক হবে, এটা আল্লাহর রাসূল (সা.) -এর সম্মানার্থে বৃদ্ধি করা হয়েছে।
শায়খ আবদুল হক (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, রাসূল -এর বাণী, (أَنْ تَكُونُوانِصْفَ أَهْلِ الْجَنَّثِ) এটা পূর্বের বাণীর সাথে সাংঘর্ষিক নয়। কারণ তিনি (সা.) প্রথমে আশা করেছেন যে, তোমরা জান্নাতের (ثلث) বা (ربع) হবে। এটা ছিল শুধুমাত্র তাঁর আশা। এরপর বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে অতিরিক্ততার সংবাদ দেয়া হয়েছে। (তুহফাতুল আহওয়াযী হা, ২৫৪৬)।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৮: সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামতের বিভিন্ন অবস্থা (كتاب أَحْوَال الْقِيَامَة وبدء الْخلق)