পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - হাশর
৫৫৪২-[১১] উক্ত রাবী [আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে বলতে শুনেছি, (কিয়ামতের দিন) যখন আমাদের প্রভু পায়ের নলা বা গোছা উন্মোচিত করবেন, তখন ঈমানদার নারী-পুরুষ প্রত্যেকেই তাঁকে সিজদাহ্ করবে। আর বিরত থাকবে ঐ সকল লোক যারা দুনিয়াতে রিয়া (লোক দেখানো) ও শুনানোর জন্য সিজদাহ্ করত, তারা সিজদাহ করতে চাইবে কিন্তু তাদের পৃষ্ঠদেশ ও কোমর একটি কাষ্ঠফলকের মতো শক্ত হয়ে যাবে। (বুখারী ও মুসলিম)
الفصل الاول (بَاب الْحَشْر)
وَعَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «يَكْشِفُ رَبُّنَا عَنْ سَاقِهِ فَيَسْجُدُ لَهُ كُلُّ مُؤْمِنٍ وَمُؤْمِنَةٍ وَيَبْقَى مَنْ كَانَ يَسْجُدُ فِي الدُّنْيَا رِيَاءً وَسُمْعَةً فَيَذْهَبُ لِيَسْجُدَ فَيَعُودُ ظَهْرُهُ طَبَقًا وَاحِدًا» . مُتَّفق عَلَيْهِ
متفق علیہ ، رواہ البخاری (4919) و مسلم (لم اجدہ ، و انظر ح 5579 من ھذا الکتاب) ۔
(مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)
ব্যাখ্যা: আল্লাহ তা'আলা যে সব বস্তু নিজের জন্য সাব্যস্ত করেছেন সে সবগুলো সত্য এবং প্রকাশ্য অর্থেই গণ্য। যেমন আল্লাহ তা'আলার আকার আকৃতি ও হাকীকাত, কোন মানুষের নিকট জানা নেই। এসবের উপর ঈমান আনা উচিত। আর এসবের আকৃতি প্রকৃতির ব্যাপার আল্লাহর নিকট সোপর্দ করা উচিত। উপমা ও তুলনা থেকে বেঁচে থাকা দরকার। এ কল্পনা না হয় যে, (আল্লাহ মাফ করুক) আল্লাহ তাআলার হাত, চেহারা, চোখ অথবা নলা কোন সৃষ্টির হাত, চেহারা ও চোখের মতো। বরং যেমন তার জাত বা সত্তার তুলনাহীন তেমনিভাবে তাঁর গুণাবলির ক্ষেত্রেও। এটা সালাফদের ‘আক্বীদাহ্ বা বিশ্বাস। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)