পরিচ্ছেদঃ ১৫. ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা সম্পর্কে
২৭৬১. হুযাইফা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার পরিবারের উপর জিহ্বা ছিল খুবই ধারালো (তথা তাদেরকে খুব বকা-ঝকা করতাম)। তবে সেটি তাদেরকে অতিক্রম করে অন্যদের পর্যন্ত যেত না। এরপর আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলাম। তখন তিনি বললেন: “তুমি তোমার ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা থেকে কোথায় আছ? আমি দৈনিক একশতবার আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি।”[1]
আবূ ইসহাক বলেন, আমি আবী মূসা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর দু’ছেলে আবূ বুরদাহ ও আবূ বকরের নিকট বর্ণনা এ হাদীস করলাম, তখন তারা বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আমি দৈনিক একশতবার আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি। আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং তাঁর নিকট তাওবা করি।”[2]
باب فِي الِاسْتِغْفَارِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَقَ عَنْ عُبَيْدِ بْنِ عَمْرٍو أَبِي الْمُغِيرَةِ عَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ كَانَ فِي لِسَانِي ذَرَبٌ عَلَى أَهْلِي وَلَمْ يَكُنْ يَعْدُهُمْ إِلَى غَيْرِهِمْ فَسَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ أَيْنَ أَنْتَ عَنْ الِاسْتِغْفَارِ إِنِّي لَأَسْتَغْفِرُ اللَّهَ كُلَّ يَوْمٍ مِائَةَ مَرَّةٍ قَالَ أَبُو إِسْحَقَ فَحَدَّثْتُ أَبَا بُرْدَةَ وَأَبَا بَكْرٍ ابْنَيْ أَبِي مُوسَى قَالَا قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ كُلَّ يَوْمٍ مِائَةَ مَرَّةٍ أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৯২৬ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৪৫৮ তে।
সংযোজনী: এছাড়াও, ইবনু আবী শাইবা ১৩/৪৬৩ নং ১৬৯২৬; আবূ নুয়াইম, হিলইয়া ৬/২৭৬; ইবনুস সুন্নী, আমলুল ইয়ামু ওয়াল লাইলাহ নং ৩৬২; তায়ালিসী, মানিহাতুল মা’বুদ ১/২৫১ নং ১২৩৯।
এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৯২৫ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৪৫৬ তে।
এর অপর শাহিদ হাদীসটি রয়েছে আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, আামরা যার তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৯৩৪ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৯২৪ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৪৫৭ তে।
[2] তাহক্বীক্ব: এ মুরসাল হাদীসটির সনদ জাইয়্যেদ বা উত্তম।
তাখরীজ: আর এটি মাওসুল ও মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন আহমাদ ৪/৪১০; নাসাঈ, আমলুল ইয়ামু ওয়াল লাইলাহ নং ৪৪০; তাহাবী, শারহু মাআনিল আছার ৪/২৮৯ তে। আগের টীকাটিও দেখুন।