৩২২৫

পরিচ্ছেদঃ ৮. মালিকের সাথে বিবাহ

৩২২৫. কাছীর ইবন উবায়দ (রহঃ) ... উবায়দুল্লাহ ইবন আব্দুল্লাহ ইবন উতবা (রহঃ) বর্ণনা করেন, আব্দুল্লাহ ইবন আমর ইবন উসমান, মারওয়ানের খেলাফতকালে বিনতে সাঈদ ইবন যায়দকে তিন তালাক দিলেন, অথচ তিনি ছিলেন তখন একজন পূর্ণ যুবক। আর বিনতে সাঈদ-এর মাতা ছিলেন বিনতে কায়স। তার খালা ফাতিমা বিনতে কায়স তার নিকট সংবাদ পাঠালো, সে যেন আব্দুল্লাহ্ ইবন আমরের ঘর হতে পৃথক হয়ে যায়। মারওয়ান এ খবর শুনে বিনতে সাঈদ-এর নিকট লোক পাঠিয়ে আদেশ করলো, সে যেন তার ঘরে প্রত্যাবর্তন করে, এবং তাকে প্রশ্ন করলো, সে ইতিপূর্বে তার ঘরে থাকা অবস্থায় তাকে কিসে তার ঘর হতে বের করলো। ঘরে থেকে ইদ্দত কেন পূর্ণ করলো না? সে খলিফার নিকট সংবাদ পাঠালো, তার খালা তাকে এ আদেশ করেছেন। ফাতিমা বিনতে কায়স মনে করলেন, সে আবু আমর ইবন হাফসের বিবাহে রয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আলী ইবন আবী তালিব (রাঃ)-কে ইয়ামনে গর্ভনর করে পাঠালেন, তখন তিনি তাঁর সাথে গিয়েছিলেন, সেখান হতে তিনি তাঁর নিকট এক তালাক পাঠালেন, যা ছিল তাঁর অবশিষ্ট তালাক এবং হারিছ ইবন হিশাম এবং আইয়াশ ইবন আবী রবীআকে তার খোরপোষ দিয়ে দিতে আদেশ করলেন।

ফাতিমা হারিছ এবং আইয়াশ-এর নিকট লোক পাঠিয়ে তার স্বামী তাদেরকে যে খোরপোষ দিতে বলেছিলেন, তা চেয়ে পাঠালেন। তাঁরা উভয়ে বললেনঃ আল্লাহর শপথ আমাদের নিকট তার কোন খোরপোষ নেই; তবে যদি সে গর্ভবতী হয়। আর তার আমাদের ঘরে থাকার কোন অধিকার নেই, আমাদের অনুমতি ব্যতীত। এরপর তিনি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে গমন করে তা বর্ণনা করলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হারিছ এবং আইয়াশ এর কথাই বিশ্বাস করলেন। তখন ফাতিমা (রাঃ) বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি কোথায় যাব? তিনি বললেনঃ তুমি ইবন উম্মে মাকতুম, যাকে আল্লাহ্ তা’আলা স্বীয় কিতাবে ’অন্ধ’ বলেছেন, তাঁর নিকট থাক। ফাতিমা (রাঃ) বলেনঃ আমি তার নিকটই ইদ্দত পূৰ্ণ করলাম। তিনি ছিলেন দৃষ্টি শক্তিহীন ব্যক্তি। আমি তাঁর ঘরে আমার কাপড় খুলে রাখতাম। পরে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে উসামা ইবন যায়ীদ-এর নিকট বিবাহ দিলেন, মারওয়ান ইহা অবিশ্বাস করলেন। তিনি বললেন, তোমার পূর্বে এ হাদীস আমি কারও নিকট শ্রবণ করিনি। এ ব্যাপারে লোককে যা করতে দেখেছি, আমি সে ফয়সালা করবো। (সংক্ষিপ্ত)

تَزَوُّجُ الْمَوْلَى الْعَرَبِيَّةَ

أَخْبَرَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ عَنْ الزُّبَيْدِيِّ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ طَلَّقَ وَهُوَ غُلَامٌ شَابٌّ فِي إِمَارَةِ مَرْوَانَ ابْنَةَ سَعِيدِ بْنِ زَيْدٍ وَأُمُّهَا بِنْتُ قَيْسٍ الْبَتَّةَ فَأَرْسَلَتْ إِلَيْهَا خَالَتُهَا فَاطِمَةُ بِنْتُ قَيْسٍ تَأْمُرُهَا بِالِانْتِقَالِ مِنْ بَيْتِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَسَمِعَ بِذَلِكَ مَرْوَانُ فَأَرْسَلَ إِلَى ابْنَةِ سَعِيدٍ فَأَمَرَهَا أَنْ تَرْجِعَ إِلَى مَسْكَنِهَا وَسَأَلَهَا مَا حَمَلَهَا عَلَى الِانْتِقَالِ مِنْ قَبْلِ أَنْ تَعْتَدَّ فِي مَسْكَنِهَا حَتَّى تَنْقَضِيَ عِدَّتُهَا فَأَرْسَلَتْ إِلَيْهِ تُخْبِرُهُ أَنَّ خَالَتَهَا أَمَرَتْهَا بِذَلِكَ فَزَعَمَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ قَيْسٍ أَنَّهَا كَانَتْ تَحْتَ أَبِي عَمْرِو بْنِ حَفْصٍ فَلَمَّا أَمَّرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ عَلَى الْيَمَنِ خَرَجَ مَعَهُ وَأَرْسَلَ إِلَيْهَا بِتَطْلِيقَةٍ هِيَ بَقِيَّةُ طَلَاقِهَا وَأَمَرَ لَهَا الْحَارِثَ بْنَ هِشَامٍ وَعَيَّاشَ بْنَ أَبِي رَبِيعَةَ بِنَفَقَتِهَا فَأَرْسَلَتْ زَعَمَتْ إِلَى الْحَارِثِ وَعَيَّاشٍ تَسْأَلُهُمَا الَّذِي أَمَرَ لَهَا بِهِ زَوْجُهَا فَقَالَا وَاللَّهِ مَا لَهَا عِنْدَنَا نَفَقَةٌ إِلَّا أَنْ تَكُونَ حَامِلًا وَمَا لَهَا أَنْ تَكُونَ فِي مَسْكَنِنَا إِلَّا بِإِذْنِنَا فَزَعَمَتْ أَنَّهَا أَتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لَهُ فَصَدَّقَهُمَا قَالَتْ فَاطِمَةُ فَأَيْنَ أَنْتَقِلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ انْتَقِلِي عِنْدَ ابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ الْأَعْمَى الَّذِي سَمَّاهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فِي كِتَابِهِ قَالَتْ فَاطِمَةُ فَاعْتَدَدْتُ عِنْدَهُ وَكَانَ رَجُلًا قَدْ ذَهَبَ بَصَرُهُ فَكُنْتُ أَضَعُ ثِيَابِي عِنْدَهُ حَتَّى أَنْكَحَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ فَأَنْكَرَ ذَلِكَ عَلَيْهَا مَرْوَانُ وَقَالَ لَمْ أَسْمَعْ هَذَا الْحَدِيثَ مِنْ أَحَدٍ قَبْلَكِ وَسَآخُذُ بِالْقَضِيَّةِ الَّتِي وَجَدْنَا النَّاسَ عَلَيْهَا مُخْتَصَرٌ

اخبرنا كثير بن عبيد قال حدثنا محمد بن حرب عن الزبيدي عن الزهري عن عبيد الله بن عبد الله بن عتبة ان عبد الله بن عمرو بن عثمان طلق وهو غلام شاب في امارة مروان ابنة سعيد بن زيد وامها بنت قيس البتة فارسلت اليها خالتها فاطمة بنت قيس تامرها بالانتقال من بيت عبد الله بن عمرو وسمع بذلك مروان فارسل الى ابنة سعيد فامرها ان ترجع الى مسكنها وسالها ما حملها على الانتقال من قبل ان تعتد في مسكنها حتى تنقضي عدتها فارسلت اليه تخبره ان خالتها امرتها بذلك فزعمت فاطمة بنت قيس انها كانت تحت ابي عمرو بن حفص فلما امر رسول الله صلى الله عليه وسلم علي بن ابي طالب على اليمن خرج معه وارسل اليها بتطليقة هي بقية طلاقها وامر لها الحارث بن هشام وعياش بن ابي ربيعة بنفقتها فارسلت زعمت الى الحارث وعياش تسالهما الذي امر لها به زوجها فقالا والله ما لها عندنا نفقة الا ان تكون حاملا وما لها ان تكون في مسكننا الا باذننا فزعمت انها اتت رسول الله صلى الله عليه وسلم فذكرت ذلك له فصدقهما قالت فاطمة فاين انتقل يا رسول الله قال انتقلي عند ابن ام مكتوم الاعمى الذي سماه الله عز وجل في كتابه قالت فاطمة فاعتددت عنده وكان رجلا قد ذهب بصره فكنت اضع ثيابي عنده حتى انكحها رسول الله صلى الله عليه وسلم اسامة بن زيد فانكر ذلك عليها مروان وقال لم اسمع هذا الحديث من احد قبلك وساخذ بالقضية التي وجدنا الناس عليها مختصر


Narrated 'Ubaidullah bin 'Abdullah bin 'Utbah:
It was narrated from 'Ubaidullah bin 'Abdullah bin 'Utbah that during the reign of Marwan, 'Abdullah bin 'Amr bin 'Uthman, who was a young man, issued a final divorce to the daughter of Sa'eed bin Zaid, whose mother was Bint Qais. Her maternal aunt, Fatimah bint Qais, sent word to her telling her to move from the house of 'Abdullah bin 'Amr. Marwan heard of that and he sent word to the daughter of Sa'eed, telling her to go back to her home, and asking her why she had moved from her home before her 'Iddah was over? She sent word to him telling him that her maternal aunt had told her to do that. Fatimah bint Qais said that she had been married to Abu 'Amr bin Hafs, and when the Messenger of Allah appointed 'Ali bin Abi Talib as governor of Yemen, he went out with him and sent word to her that she was divorced with the third Talaq. He told Al-Harith bin Hisham and 'Ayyash bin Abi Rai'ah to spend on her. She sent word to Al-Harith and 'Ayyash asking them what her husband had told them to spend on her, and they said: 'By Allah, she has no right to any maintenance from us, unless she is pregnant, and she cannot come into our home without our permission.' She said that she came to the Messenger of Allah and told him about that, and he stated that they were correct. Fatimah said: 'Where should I move to, O Messenger of Allah?' He said: 'Move to the home of Ibn Umm Maktum, the blind man whom Allah, the Mighty and Sublime, named in His Book.' Fatimah said: 'So I observed my 'Iddah there. He was a man who has lost his sight, so I used to take off my garments in his house, until the Messenger of Allah married me to Usamah bin Zaid.' Marwan criticized her for that and said: 'I have never heard this Hadith from anyone before you. I will continue to follow the ruling that the people have been following.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২৬/ নিকাহ (বিবাহ)(كتاب النكاح)