পরিচ্ছেদঃ ৫৪. কোনো লোক কোনো একটি বিষয়ে ফতোয়া দেয়ার পর তার নিকট নাবী (ﷺ) হতে (এর বিপরীত) হাদীস পৌঁছলে, তিনি নাবী (ﷺ) এর বাণীর দিকে প্রত্যাবর্তন করেন
৬৬৫.[1] মুগীরাহ ইবনু শু’বাহ বলেন: উমার ইবনুল খাত্ত্বাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু লোকদেরকে কসম দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে গর্ভস্থ শিশু বা ভ্রূণ (হত্যার) ব্যাপারে ফায়সালা দিতে আপনাদের কেউ শুনেছেন কি? তখন মুগীরাহ ইবনু শু’বাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু দাঁড়িয়ে বললেন, তিনি এরূপ ক্ষেত্রে একটি গোলাম অথবা বাঁদী প্রদানের ফায়সালা করেছেন।
তিনি পুনরায় লোকদেরকে কসম দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন। তখন যার পক্ষে তিনি এ ফায়সালা দিয়েছিলেন সেই বাদী ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার পক্ষে (গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতিপূরণ বা দিয়াত স্বরূপ) একটি গোলাম অথবা বাঁদী প্রদানের ফায়সালা করেছেন। তিনি পুনরায় লোকদেরকে কসম দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন। তখন যার বিপক্ষে তিনি এ ফায়সালা দিয়েছিলেন সেই বিবাদী ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার বিপক্ষে ’গুররাহ’ (গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতিপূরণ বা দিয়াত) স্বরূপ একটি গোলাম অথবা বাঁদী প্রদানের ফায়সালা করেছেন। তখন আমি বলেছিলাম: আপনি আমার বিপক্ষে এমন একজনের বিষয়ে (ক্ষতিপূরণের) ফায়সালা দিলেন, যা খায়নি, পানও করেনি আবার কাঁন্নাকাটিও করেনি এবং কথাও বলেনি। বরং এ (দিয়াত) রহিত হওয়াই ছিল অধিকতর সঙ্গত। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর হাতে থাকা কোনো একটি বস্তু তার দিকে ছুঁড়ে মারলেন এবং বললেন: এ কি কাব্য? (এ হাদীস শুনে) তখন উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন: যদি আমার নিকট নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ ফায়সালা না পৌঁছতো, তবে আমি দুটি দিয়াতের মধ্য থেকে অবশ্যই একটি দিয়াতের ব্যবস্থা করতাম।[2]
بَابُ الرَّجُلِ يُفْتِي بِشَيْءٍ، ثُمَّ يَبْلُغُهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَيَرْجِعُ إِلَى قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ الْمُغِيرَةِ عَنْ عَنْبَسَةَ بْنِ سَعِيدٍ عَنْ خَالِدِ بْنِ زَيْدٍ الْأَنْصَارِيِّ عَنْ عَقَّارِ بْنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ عَنْ أَبِيهِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ قَالَ نَشَدَ عُمَرُ النَّاسَ أَسَمِعَ مِنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحَدٌ مِنْكُمْ فِي الْجَنِينِ فَقَامَ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ فَقَالَ قَضَى فِيهِ عَبْدًا أَوْ أَمَةً فَنَشَدَ النَّاسَ أَيْضًا فَقَامَ الْمَقْضِيُّ لَهُ فَقَالَ قَضَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِي بِهِ عَبْدًا أَوْ أَمَةً فَنَشَدَ النَّاسَ أَيْضًا فَقَامَ الْمَقْضِيُّ عَلَيْهِ فَقَالَ قَضَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَيَّ غُرَّةً عَبْدًا أَوْ أَمَةً فَقُلْتُ أَتَقْضِي عَلَيَّ فِيهِ فِيمَا لَا أَكَلَ وَلَا شَرِبَ وَلَا اسْتَهَلَّ وَلَا نَطَقَ أَنْ تُطِلَّهُ فَهُوَ أَحَقُّ مَا يُطَلُّ فَهَمَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهِ بِشَيْءٍ مَعَهُ فَقَالَ أَشِعْرٌ فَقَالَ عُمَرُ لَوْلَا مَا بَلَغَنِي مِنْ قَضَاءِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَجَعَلْتُهُ دِيَةً بَيْنَ دِيَتَيْنِ
الحديث صحيح متفق عليه
[2] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ, তবে হাদীসটি সহীহ। সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমের বর্ণিত হাদীস।
তাখরীজ: সহীহ বুখারী, ৭৩১৭, ৭৩১৮, ৬৯০৫, ৬৯০৭; সহীহ মুসলিম ১৬৮১-১৬৮৩। আমরা এর পূর্ণাঙ্গ তাখরীজ করেছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬০১৬। এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আবু হুরাইরা হতে যা সহীহ বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে। দেখুন আমার তাহক্বীক্বকৃত মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৯১৭ ও সহীহ ইবনু হিব্বান ৬০১৮, ৬০২০।