পরিচ্ছেদঃ ২২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ভালো কাজের আদেশ
৫১৪৪-[৮] আবূ সা’লাবাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি আল্লাহ তা’আলার এ বাণী- عَلَيْكُمْ أَنْفُسَكُمْ لَا يَضُرُّكُمْ مَنْ ضَلَّ إِذَا اهْتَدَيْتُمْ সম্পর্কে বলেনঃ আল্লাহর কসম! আমি এ আয়াত সম্বন্ধে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করেছি (অর্থাৎ- এ আয়াত অনুযায়ী সৎকাজের আদেশ এবং অসৎকাজের নিষেধ করা থেকে বিরত থাকব কি-না)। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ’’না’’; বরং ঐ পর্যন্ত চালু রাখো, যখন তোমরা দেখবে, কৃপণের অনুসরণ করা হয়, প্রবৃত্তির পূজা করা হয়, ইহকালকে পরকালের উপর প্রাধান্য দেয়া হয় এবং প্রত্যেক জ্ঞানী ব্যক্তি নিজের মতকে পছন্দনীয় বলে মনে করে। তুমি এমন কাজ দেখবে, যা থেকে তুমি এড়িয়ে চলতে পারবে না। তখন তুমি নিজেকেই নিজে রক্ষা করো এবং জনগণকে তাদের অবস্থার উপর ছেড়ে দাও। কারণ তোমাদের ভবিষ্যৎযুগ এমন হবে, তোমাকে শুধু ধৈর্যধারণ করতে হবে এবং এমতাবস্থায় যে ব্যক্তি ধৈর্যধারণ করবে, তার অবস্থা এরূপ হবে, যেন সে নিজের হাতে নিজে অঙ্গার উঠিয়ে নিয়েছে। সে সময় যে ব্যক্তি ধর্মের কাজে ’আমল করবে, সে পঞ্চাশজন লোকের ’আমল করার সাওয়াব পাবে। জনৈক সাহাবী জিজ্ঞেস করলেনঃ হে আল্লাহর রসূল! সে যামানারই পঞ্চাশজন লোকের ’আমলে সাওয়াবের সমান হবে? রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ না, তোমাদের যামানার পঞ্চাশজনের ’আমলের সাওয়াবের সমান হবে। (তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ)[1]
ولبعض فقره شَوَاهِد)
وَعَن أبي ثعلبةَ فِي قَوْلُهُ تَعَالَى: (عَلَيْكُمْ أَنْفُسَكُمْ لَا يَضُرُّكُمْ مَنْ ضل إِذا اهْتَدَيْتُمْ)
فَقَالَ: أَمَا وَاللَّهِ لَقَدْ سَأَلْتُ عَنْهَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: بَلِ ائْتَمَرُوا بِالْمَعْرُوفِ وَتَنَاهَوْا عَنِ الْمُنْكَرِ حَتَّى إِذَا رأيتَ شُحّاً مُطاعاً وَهوى مُتَّبَعاً ودينا مُؤْثَرَةً وَإِعْجَابَ كُلِّ ذِي رَأْيٍ بِرَأْيِهِ وَرَأَيْتَ أَمْرًا لَا بُدَّ لَكَ مِنْهُ فَعَلَيْكَ نَفْسَكَ وَدَعْ أَمْرَ الْعَوَامِّ فَإِنَّ وَرَاءَكُمْ أَيَّامَ الصَّبْرِ فَمَنْ صَبَرَ فِيهِنَّ قَبَضَ عَلَى الْجَمْرِ لِلْعَامِلِ فِيهِنَّ أَجْرُ خَمْسِينَ مِنْهُمْ؟ قَالَ: «أَجْرُ خَمْسِينَ مِنْكُمْ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه
ব্যাখ্যাঃ (عَلَيْكُمْ أَنْفُسَكُمْ) উল্লেখিত আয়াতাংশের ব্যাখ্যায় ইমাম বায়যাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ আয়াতাংশের অর্থ হলো তোমরা নিজেরদেরকে বিপদাপদ ও অন্যায় অশ্লীলতা থেকে হিফাযাত কর এবং কৃত অন্যায় অপরাধ থেকে সংশোধন কর।
(بَلِ ائْتَمَرُوا بِالْمَعْرُوفِ وَتَنَاهَوْا عَنِ الْمُنْكَرِ) বর্ণিত হাদীসাংশের অর্থ হলো তোমরা একে অন্যকে সৎকাজের আদেশ কর আর এক দল অন্যদলকে মন্দ কাজে থেকে নিষেধ কর।
ইমাম ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ তোমরা এ দু’টো বিষয়কে (সৎকাজের আদেশ আর মন্দ কাজের নিষেধ) পরিপূর্ণরূপে উত্তম পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন কর। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)