৫১২৫

পরিচ্ছেদঃ ২১. প্রথম অনুচ্ছেদ - অত্যাচার

৫১২৫-[৩] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ’’হিজর’’ নামক স্থানের উপর দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন লোকেদেরকে বললেনঃ সেসব বাড়ি-ঘরে যাবে না, যারা নিজেদের আত্মার প্রতি অত্যাচার করেছে। তোমরা যখন অতিক্রম করবে ক্রন্দনরত অবস্থায় অতিক্রম করবে, যাতে তোমাদের ওপরও ঐ বিপদ না পৌঁছে, যা তাদের উপর পৌঁছেছে। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিজ মাথা চাদর দ্বারা ঢেকে ফেললেন এবং চলার গতি দ্রুত করলেন, যতক্ষণ না উপত্যকাটি অতিক্রম করে গেলেন। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ الظُّلْمِ

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا مَرَّ بِالْحِجْرِ قَالَ: «لَا تَدْخُلُوا مَسَاكِنَ الَّذِينَ ظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ إِلَّا أَنْ تَكُونُوا بَاكِينَ أَنْ يُصِيبَكُمْ مَا أَصَابَهُمْ» ثُمَّ قَنَّعَ رَأْسَهُ وَأَسْرَعَ السَّيْرَ حَتَّى اجتاز الْوَادي. مُتَّفق عَلَيْهِ

وعن ابن عمر ان النبي صلى الله عليه وسلم لما مر بالحجر قال: «لا تدخلوا مساكن الذين ظلموا انفسهم الا ان تكونوا باكين ان يصيبكم ما اصابهم» ثم قنع راسه واسرع السير حتى اجتاز الوادي. متفق عليه

ব্যাখ্যাঃ (لَمَّا مَرَّ بِالْحِجْرِ) উক্ত হাদীসে الْحِجْرِ শব্দটি একটি স্থানের নাম। এখানে ‘আদ এবং সামূদ সম্প্রদায়ের বসতি ছিল। এ প্রসঙ্গে তূরিবিশতী (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেনঃ الْحِجْرِ হলো সামূদ সম্প্রদায়ের আবাসিক এলাকা। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; ফাতহুল বারী ৫ম খন্ড, হাঃ ৪৪১৯)

(الَّذِينَ ظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ) অর্থাৎ-‘‘যারা নিজেদের ওপর জুলুম করেছিল’’ এরা শির্ক ও কুফরীর মাধ্যমে নিজেদের ওপর জুলুম করেছিল। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)

(قَنَّعَ رَأْسَهٗ وَأَسْرَعَ السَّيْرَ) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উক্ত পথ দিয়ে তাবুক যাওয়ার পথে এ স্থানে মাথা নিচু করে ডানে বামে কোন দিকে না তাকিয়ে খুব দ্রুত সামনে আগালেন। তিনি এমনটি করেছিলেন তাঁর উম্মাতকে শিখানোর জন্য যেন তারা পরবর্তীতে এখান দিয়ে যাওয়ার সময় খুব দ্রুত চলে যায়। যেহেতু আল্লাহ তা‘আলা এ সকল জায়গা থেকে সতর্ক সাবধান থাকার আদেশ প্রদান করেছেন, তাই রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুব দ্রুত এখান থেকে চলে যান যেন কোন বিপদ গ্রাস করতে না পারে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)

(لَا تَدْخُلُوا مَسَاكِنَ) এ প্রসঙ্গে ইমাম ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এখানে উদ্দেশ্য হলো কোন অবস্থাতেই যেন তাদের বসতিতে কেউ প্রবেশ না করে। শুধু কান্নার অবস্থায় প্রবেশ করতে পারবে এমনটি নয়। বরং সর্বাবস্থায় সেখানে প্রবেশ করা থেকে সাবধান থাকতে হবে।

ইমাম খত্ত্বাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ ঐ বসতিতে প্রবেশ করতে নিষেধের কারণ হলো যদি কেউ আল্লাহর ‘আযাবকে স্মরণ করে কান্না বা ভয়ের অবস্থায় সেখানে প্রবেশ না করে তবে ভূমিকম্প বা আসমানী বালা-মুসীবাত চলে আসতে পারে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)