৫০৮৮

পরিচ্ছেদঃ ১৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নম্রতা, লজ্জাশীলতা ও উত্তম স্বভাব

৫০৮৮-[২১] সাহল ইবনু মু’আয (রাঃ) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার নিজের রাগকে সংযত করে রাখে এমন অবস্থায় যে, সে নিজের রাগ দ্বারা নিজের মনোবৃত্তিকে চরিতার্থ করতে পারে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা’আলা তাকে সৃষ্টিকুলের সম্মুখে ডাকবেন এবং যে হূরকে সে পছন্দ করে, তাকে সে হূরকেই বেছে নেয়ার জন্য অনুমতি দেয়া হবে। [তিরমিযী ও আবূ দাঊদ; আর ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এ হাদীসটি গরীব।][1]

وَعَن سهلِ
بن معاذٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ كَظَمَ غَيْظًا وَهُوَ يَقْدِرُ عَلَى أَنْ يُنفِّذَه دعاهُ اللَّهُ على رؤوسِ الْخَلَائِقِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ حَتَّى يُخَيِّرَهُ فِي أَيِّ الْحُورِ شَاءَ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيث غَرِيب

وعن سهل بن معاذ عن ابيه ان النبي صلى الله عليه وسلم قال: «من كظم غيظا وهو يقدر على ان ينفذه دعاه الله على رووس الخلاىق يوم القيامة حتى يخيره في اي الحور شاء» . رواه الترمذي وابو داود وقال الترمذي: هذا حديث غريب

ব্যাখ্যাঃ (فِي أَيِّ الْحُورِ شَاءَ) অর্থাৎ সে যে হূরকে গ্রহণ করতে চায় তাকে সেটা গ্রহণ করার ক্ষমতা দেয়া হবে। এটা মূলত জান্নাতে প্রবেশের প্রতি ইঙ্গিত করেছে। অর্থাৎ এ কাজটি করলে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তার মর্যাদাও অনেক উঁচু হবে।

‘আল্লামা ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ মহান আল্লাহ এখানে নিয়ন্ত্রণ করার গুণকে প্রশংসা করেছেন। কেননা তা নাফ্সে আম্মারা-কে মন্দের দিকে ধাবিত করে। এ কারণে আল্লাহ তাদের প্রশংসায় বলেন, وَالْكَاظِمِينَ الْغَيْظَ وَالْعَافِينَ عَنِ النَّاسِ ‘‘...এবং রাগ দমন করে ও মানুষকে ক্ষমা করে...’’- (সূরাহ্ আ-লি ‘ইমরা-ন ৩ : ১৩৪)। আর যার আত্মাকে সে স্বীয় প্রবৃত্তি থেকে নিবৃত করতে সক্ষম হলো জান্নাত হবে তার থাকার জায়গা। আর চক্ষু শীতলকারী হূর হবে তার পুরস্কার। (তুহফাতুল আহওযায়ী ৫ম খন্ড, হাঃ ২০২১)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)