পরিচ্ছেদঃ ১৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নম্রতা, লজ্জাশীলতা ও উত্তম স্বভাব
৫০৮৫-[১৮] আবূ হুরায়রা (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ পুণ্যবান লোকেরা আত্মভোলো ও দয়ালু হয়ে থাকেন। পক্ষান্তরে পাপী লোকেরা ধূর্ত, দুশ্চরিত্র ও কৃপণ হয়ে থাকে। (আহমাদ, তিরমিযী ও আবূ দাঊদ)[1]
وَعَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْمُؤْمِنُ غِرٌّ كَرِيمٌ وَالْفَاجِرُ خَبٌّ لَئِيمٌ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ
ব্যাখ্যাঃ (الْمُؤْمِنُ غِرٌّ كَرِيمٌ) অর্থাৎ এখানে মু’মিনকে দু’টি গুণে গুণান্বিত করা হয়েছে। তারা কখনো অসৎকাজের শিকার হয়ে পড়লেও এটা তাদের মূর্খতার কারণে হয় না; বরং তাদের সভ্যতা, নম্রতা ও সৎচরিত্রের জন্য হয়ে থাকে। এটা তাদের সরল আত্মঃকরণ ও মানুষের প্রতি সৎ ধারণার কারণে হয়ে থাকে।
(الْفَاجِرُ خَبٌّ لَئِيمٌ) অর্থাৎ কৃপণ তার মাঝে অসৎ চরিত্রের প্রভাব থাকার কারণে। একজন মু’মিন ব্যক্তি কোন চক্রান্তমূলক কাজে জড়িত হয় না। সে তার কোমলতা ও সরলতার জন্য এ ফিতনা ছড়ানোর ভয়াবহতা সম্পর্কে তার জ্ঞান থাকার কারণে সে এরূপ কাজ থেকে বিরত থাকে। সে যে অজ্ঞতার কারণে বিষয়টি এমন নয়। কিন্তু এরূপ কাজ থেকে বিরত থাকল, সে বিরত থাকল তার উত্তম চরিত্রের কারণে। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ১৯৬৪; মিরক্বাতুল মাফাতীহ)