পরিচ্ছেদঃ ১৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নম্রতা, লজ্জাশীলতা ও উত্তম স্বভাব
৫০৮০-[১৩] হারিসাহ্ ইবনু ওয়াহ্ব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দুশ্চরিত্র, মন্দ স্বভাব ও কঠোর ভাষা ব্যবহারকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
রাবী বলেন, الْجَوَّاظُ অর্থ- দুশ্চরিত্র, মন্দ স্বভাব। এ হাদীসটি আবূ দাঊদ (রহিমাহুল্লাহ) তাঁর ’’সুনান’’ গ্রন্থে বর্ণনা করেন। আর বায়হাক্বী ’’শু’আবুল ঈমান’’-এ বর্ণনা করেন এবং জামি’উল উসূল প্রণেতা এতে হারিসাহ্ হতে বর্ণনা করেন। অনুরূপ শারহুস্ সুন্নাহ্ গ্রন্থে হারিসাহ্ হতে বর্ণিত ভাষ্যটি নিম্নরূপ- لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ الْجَوَّاظُ الْجَعْظَرِيُّ. يُقَالُ : الْجَعْظَرِيُّ : الْفَظُّ الْغَلِيْظُ. আর মাসাবীহ গ্রন্থে এ হাদীসটি ’ইকরিমাহ্ ইবনু ওয়াহ্ব হতে বর্ণিত হয়েছে। সেখানে এগুলো উল্লেখ করা হয়েছে যে, الْجَوَّاظُ সে ব্যক্তিকে বলা হয়, যে লোক ধন-সম্পদ সঞ্চয় করে; কিন্তু সেটা থেকে কাউকে দান করে না এবং الْجَعْظَرِيُّ শব্দের অর্থ হচ্ছে কঠোর ও রুক্ষ ভাষা ব্যবহারকারী।[1]
وَعَنْ حَارِثَةَ
بْنِ وَهْبٌ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ الْجَوَّاظُ وَلَا الْجَعْظَرِيُّ» قَالَ: وَالْجَوَّاظُ: الْغَلِيظُ الْفَظُّ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ فِي «سُنَنِهِ» . وَالْبَيْهَقِيُّ فِي «شُعَبِ الْإِيمَانِ وَصَاحِبُ» جَامِعِ الْأُصُولِ «فِيهِ عَنْ حَارِثَةَ. وَكَذَا فِي» شَرْحِ السُّنَّةِ عَنْهُ وَلَفْظُهُ قَالَ: «لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ الْجَوَّاظُ الْجَعْظَرِيُّ» . يُقَالُ: الْجَعْظَرِيُّ: الْفَظُّ الْغَلِيظُ
وَفِي نُسَخِ «الْمَصَابِيحِ» عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ وَهْبٍ وَلَفْظُهُ قَالَ: وَالْجَوَّاظُ: الَّذِي جَمَعَ وَمَنَعَ. وَالْجَعْظَرِيُّ: الغليظ الْفظ
ব্যাখ্যাঃ (الْجَوَّاظُ وَلَا الْجَعْظَرِيُّ) الْجَوَّاظُ শব্দের অর্থ سيء الْخُلُقِ বা দুশ্চরিত্র, মন্দ স্বভাব।
(الْجَعْظَرِيُّ) ঐ ব্যক্তিকে বলা হয়, যে ধন-সম্পদ জমা করে এবং সেটা কাউকে দান করে না। অর্থাৎ চরম কৃপণ। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
(الْجَوَّاظُ) অর্থ রুক্ষ বা কঠোরভাষী ও অহংকারী বলা হয়, যে তার মাথাকে কারো নিকট নত করে না। এও বলা হয় যে, কোন ব্যক্তির মাঝে যে গুণাবলী নেই সেই গুণের প্রশংসা ও সুনাম-সুখ্যাতি অন্যের নিকট থেকে যে শুনতে চায় তাকে جَعْظَرِيُّ বলে। (‘আওনুল মা‘বূদ ৮ম খন্ড, হাঃ ৪৭৯৩)