পরিচ্ছেদঃ ১৯. প্রথম অনুচ্ছেদ - নম্রতা, লজ্জাশীলতা ও উত্তম স্বভাব
৫০৭৪-[৭] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি আমার কাছে খুব প্রিয়, যার চরিত্র ভালো। (বুখারী)[1]
بَابُ الرِّفْقِ وَالْحَيَاءِ وَحُسْنِ الْخُلُقِ
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «إِن مِنْ أَحَبِّكُمْ إِلَيَّ أَحْسَنَكُمْ أَخْلَاقًا» . رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ
ব্যাখ্যাঃ (أَحْسَنَكُمْ أَخْلَاقًا) অর্থাৎ যার মধ্যে যাবতীয় ভালো-মন্দ শামিল থাকে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর হক ও বান্দার হক যথাযথভাবে আদায় করে চলে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
হাদীসটির বাস্তবিক শিক্ষা : মুসলিম সমাজে অনেককে দেখা যায় যারা সত্য কথা বলে, দান-সাদাকা করে, বড়দের সম্মান ও ছোটদের স্নেহ করে। সকল মানুষ বিনয়ীর কারণে তাকে ভালোবাসে, ভালো বলে। কিন্তু সে সালাত আদায় করে না, গোপনে পাপ কাজে লিপ্ত হয়। এরূপ সকল ব্যক্তি সমাজের চোখে ভালো হলেও কিন্তু মহান আল্লাহর কাছে ভালো না, অপরাধী। কাজেই ভালো হতে হলে মানুষের হক ও আল্লাহর হক উভয়টিই আদায় করতে হবে। তাহলে উত্তম চরিত্রবান হওয়া যাবে। [সম্পাদক]