৫০৪৭

পরিচ্ছেদঃ ১৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সাক্ষাৎ ত্যাগ, সম্পর্কচ্ছেদ ও দোষান্বেষণে নিষেধাজ্ঞা

৫০৪৭-[২১] মুসতাওরিদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের পরোক্ষ নিন্দা করে বা মন্দ বলে এক গ্লাস খেলো, আল্লাহ তা’আলা তাকে সে পরিমাণ জাহান্নামের আগুন খাওয়াবেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের অপদস্থ ও অপমানের বিনিময়ে কাপড় পরিধান করল, আল্লাহ তা’আলা সেটার বিনিময়ে তাকে সমপরিমাণ জাহান্নামের আগুনের পোশাক পরিধান করাবেন। আর যে ব্যক্তি কাউকে দাঁড় করায় বা নিজে দণ্ডায়মান হয়ে লোকেদেরকে নিজের বুজুর্গি শোনায় বা নিজের শ্রেষ্ঠত্ব দেখায়, কিয়ামতের দিন স্বয়ং আল্লাহ তা’আলা তার ত্রুটি-বিচ্যুতি ও দুর্বলতা শোনানোর জন্য এবং দেখানোর জন্য তাকে দাঁড় করাবেন। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَن الْمُسْتَوْرد
عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ أَكَلَ بِرَجُلٍ مُسْلِمٍ أُكْلَةً فَإِنَّ اللَّهَ يُطعِمُه مثلَها منْ جهنَّمَ ومَن كَسا ثَوْبًا بِرَجُلٍ مُسْلِمٍ فَإِنَّ اللَّهَ يَكْسُوهُ مِثْلَهُ مِنْ جَهَنَّمَ وَمَنْ قَامَ بِرَجُلٍ مَقَامَ سُمْعَةٍ وَرِيَاءٍ فَإِنَّ اللَّهَ يَقُومُ لَهُ مَقَامَ سُمْعَةٍ ورياءِ يَوْم الْقِيَامَة» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعن المستورد عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: «من اكل برجل مسلم اكلة فان الله يطعمه مثلها من جهنم ومن كسا ثوبا برجل مسلم فان الله يكسوه مثله من جهنم ومن قام برجل مقام سمعة ورياء فان الله يقوم له مقام سمعة ورياء يوم القيامة» . رواه ابو داود

ব্যাখ্যাঃ (مَنْ أَكَلَ بِرَجُلٍ مُسْلِمٍ) অর্থাৎ কোন মুসলিমের গীবত করার কারণে যে তার সাথে শত্রুতা রাখে তার কাছে এ মুসলিমের মান-সম্মান খাটো করার কারণে অথবা তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়ে এক গস্নাস বা এক বেলা খাদ্য গ্রহণ করল, মহান আল্লাহ তাকে জাহান্নামের আগুন থেকে এ পরিমাণ খাওয়াবেন।

(بِرَجُلٍ مُسْلِمٍ) এর ب (বা) টি তা‘দিয়্যাহ্ বা পৌঁছে দেয়া অর্থে অথবা কারণ দর্শাণোর অর্থে আসতে পারে। যদি সেটা তা‘দিয়্যাহ্ এর জন্য আসে তবে তার অর্থ হবে مَنْ أَقَامَ رَجُلًا مَقَامَ سُمْعَةٍ وَرِيَاءٍ অর্থাৎ যে ব্যক্তি কোন ব্যক্তিকে দিয়ে তাকওয়া ও বুজুর্গ প্রকাশ করল যাতে করে মানুষ তার ব্যাপারে সুধারণা বা উত্তম বিশ্বাস রাখে যে, সে একজন মুত্তাক্বী ব্যক্তি, তাকে সম্মানী করুক বা তাকে লোকেরা খিদমাত করুক, যেন সে এর কারণে টাকা-পয়সা বা সম্মান-মর্যাদা লাভ করতে পারে। তখন আল্লাহ তা‘আলা তার সুনাম ও লোক দেখানোর বিপরীতে একজন মালাক (ফেরেশতা) দাঁড় করিয়ে দেন যাতে সে প্রকাশ করতে পারে যে এ ব্যক্তি মিথ্যুক।

আর যদি সাবাবিয়্যাহ্ বা কারণ দর্শানোর জন্য আসে তবে এর অর্থ হবে : সে নিজে দ-য়ামান হয়ে লোকেদেরকে নিজের বুজুর্গি শোনায় বা নিজের শ্রেষ্ঠত্ব দেখায় যাতে লোকেরা বিশ্বাস করে যে, লোকটি বিরাট মর্যাদার অধিকারী। অনেক সম্পদশালী, এটা দ্বারা তার উদ্দেশ্য হলো লোকেরা তাকে বেশি টাকা প্রদান করুক, তাকে সম্মান করুক তবে কিয়ামতের দিন স্বয়ং আল্লাহ তার ত্রুটি-বিচ্যুতি ও দুর্বলতা শোনানোর জন্য এবং দেখানোর জন্য দাঁড় করাবেন (একজন ফেরেশতাকে)। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; ‘আওনূল মা‘বূদ ৮ম খন্ড, হাঃ ৪৮৭৩)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)