পরিচ্ছেদঃ ১৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সাক্ষাৎ ত্যাগ, সম্পর্কচ্ছেদ ও দোষান্বেষণে নিষেধাজ্ঞা
৫০৪০-[১৪] আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা হিংসা হতে বেঁচে থাকো। কেননা হিংসা সৎকর্মসমূহকে খেয়ে ফেলে, যেমনিভাবে কাষ্ঠখন্ডকে আগুন খায়। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِيَّاكُمْ وَالْحَسَدَ فَإِنَّ الْحَسَدَ يَأْكُلُ الْحَسَنَاتِ كَمَا تَأْكُلُ النَّارُ الْحَطَبَ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
হাদীসটি য‘ঈফ হওয়ার কারণ, এর সনদের বর্ণনাকারীগণ বিশ্বস্ত তবে ইব্রাহীমের দাদা/নানা (جد ابراهيم) ব্যতীত। তিনি মাজহূল বা অপরিচিত। কারণ, তার নাম উল্লেখ করা হয়নি। দেখুন- য‘ঈফাহ্ ১৯০২।
ব্যাখ্যাঃ (إِيَّاكُمْ وَالْحَسَدَ) অর্থাৎ তোমরা ধন-সম্পদ ও পার্থিব সম্মান-মর্যাদার বিষয়ে অন্যের প্রতি হিংসা করা থেকে বেঁচে থাক। কেননা এটা নিন্দনীয়। অবশ্য পরকালীন বিষয়ে গিবতাহ্ বা অন্যের মধ্যে যে বিশেষত্ব রয়েছে তা নিজের মধ্যে অর্জিত হওয়ার আগ্রহ করা দূষণীয় নয়।
(فَإِنَّ الْحَسَدَ يَأْكُلُ الْحَسَنَاتِ) অর্থাৎ হিংসা-বিদ্বেষ হিংসুকের সৎকর্মগুলো বিনষ্ট করে দেয়।
(كَمَا تَأْكُلُ النَّارُ الْحَطَبَ) কারণ হিংসা হিংসুককে গীবত করার দিকে নিয়ে যায়। সুতরাং যার প্রতি হিংসা করা হয়েছে সে হিংসুকের সৎকর্মগুলো নিয়ে যাবে তার গীবত করার কারণে। সুতরাং যার প্রতি হিংসা করা হয়েছে তার নি‘আমাতের উপর নি‘আমাত বৃদ্ধি পায়। আর হিংসুক ব্যক্তির ক্ষতির উপর ক্ষতি। তার অবস্থার ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেন, خَسِرَ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ ‘‘তার দুনিয়া ও আখিরাত ধ্বংস হলো’’- (সূরাহ্ আল হজ্জ ২২ : ১১)। (‘আওনুল মা‘বূদ ৮ম খন্ড, হাঃ ৪৮৯৫)