৫০৩১

পরিচ্ছেদঃ ১৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - সাক্ষাৎ ত্যাগ, সম্পর্কচ্ছেদ ও দোষান্বেষণে নিষেধাজ্ঞা

৫০৩১-[৫] উম্মু কুলসূম বিনতু ’উকবাহ্ ইবনু আবূ মু’আয়ত (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, ঐ ব্যক্তি মিথ্যুক নয়, যে ব্যক্তি মিথ্যা বলে হলেও লোকেদের মধ্যে মীমাংসা করে, উভয় পক্ষকে ভালো কথা বলে, একের পক্ষ থেকে অপরকে ভালো কথা পৌঁছায়। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

ইমাম মুসলিম (রহিমাহুল্লাহ) এক বর্ণনায় এ কথাগুলো বৃদ্ধি করেছেন, উম্মু কুলসূম (রাঃ) বলেনঃ আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তিনটি কাজ ব্যতীত কোন কাজে কখনো মিথ্যা বলার অনুমতি দিতে শুনিনি- ১. শত্রুর বিরুদ্ধে মুসলিমের যুদ্ধের সময়, ২. ব্বিদমান দু’ পক্ষর মীমাংসা করানোর সময় এবং ৩. স্বামী স্ত্রীর সাথে এবং স্ত্রী স্বামীর সাথে কথা বলার সময়।

بَابُ مَا يُنْهٰى عَنْهُ مِنَ التَّهَاجِرُ وَالتَّقَاطُعِ وَاتِّبَاعِ الْعَوْرَاتِ

وَعَنْ أُمُّ كُلْثُومٍ بِنْتُ عُقْبَةَ بْنِ أَبِي مَعِيطٍ قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَيْسَ الْكَذَّابُ الَّذِي يُصْلِحُ بَيْنَ النَّاسِ وَيَقُولُ خَيْرًا وَيَنْمِي خَيْرًا» . مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ. وَزَادَ مُسْلِمٌ قَالَتْ: وَلَمْ أَسْمَعْهُ - تَعْنِي النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يُرَخِّصُ فِي شَيْءٍ مِمَّا يَقُولُ النَّاسُ كَذِبٌ إِلَّا فِي ثَلَاثٍ: الْحَرْبُ وَالْإِصْلَاحُ بَيْنَ النَّاسِ وَحَدِيثُ الرَّجُلِ امْرَأَتَهُ وَحَدِيثُ الْمَرْأَةِ زَوْجَهَا

وعن ام كلثوم بنت عقبة بن ابي معيط قالت: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: «ليس الكذاب الذي يصلح بين الناس ويقول خيرا وينمي خيرا» . متفق عليه. وزاد مسلم قالت: ولم اسمعه - تعني النبي صلى الله عليه وسلم - يرخص في شيء مما يقول الناس كذب الا في ثلاث: الحرب والاصلاح بين الناس وحديث الرجل امراته وحديث المراة زوجها

ব্যাখ্যাঃ (لَيْسَ الْكَذَّابُ الَّذِىْ يُصْلِحُ بَيْنَ النَّاسِ) ‘‘ঐ ব্যক্তি মিথ্যাবাদী নয়, যে মিথ্যা বলেও লোকেদের মধ্যে মীমাংসা করে।’’ এর অর্থ হলো ঐ ব্যক্তি নিন্দিত মিথ্যুক নয়, যে মানুষের মাঝে মীমাংসা করে। বরং সে ব্যক্তি একজন সৎলোক। (শারহুন নাবাবী ১৬শ খন্ড, হাঃ ২৬০৫)

(وَيَنْمِي خَيْرًا) অর্থাৎ উভয়পক্ষকে ভালো কথা বলে, একপক্ষ থেকে অপরপক্ষকে ভালো কথা পৌঁছায়। অর্থাৎ যে ভালো কথা তাদের থেকে শোনেনি, তা অপরপক্ষর নিকট পৌঁছে দেয়। যেমন- সে বলে, অমুক ব্যক্তি আপনাকে সালাম প্রেরণ করেছেন, সে আপনাকে ভালোবাসে, সে আপনার ব্যাপারে ভালো বলেছে। অনুরূপ আরো অনেক কথা তার নিজের থেকে বলে। এর দ্বারা তার উদ্দেশ্য হলো উভয়ের মাঝে সৃষ্ট বিবাদ মীমাংসা করা। কাযী ‘ইয়ায (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ সে ভালো কথা যা শুনেছে তা বলবে আর খারাপ কথা পরিহার করবে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)