পরিচ্ছেদঃ ১৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - আল্লাহ তা‘আলার প্রতি ভালোবাসা এবং আল্লাহ তা‘আলার জন্য বান্দার প্রতি ভালোবাসা
৫০০৬-[৪] আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা’আলা বলবেন, সে লোকেরা কোথায়? যারা আমার ইয্যতের খাতিরে একে অপরকে ভালোবাসত। আজ আমি তাদেরকে আমার ছায়ায় জায়গা দেব। আজ আমার ছায়া ব্যতীত আর কোন ছায়া নেই। (মুসলিম)[1]
بَابُ الْحُبِّ فِى اللهِ وَمِنَ اللهِ
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ اللَّهَ يَقُولُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ: أَيْنَ الْمُتَحَابُّونَ بِجَلَالِي؟ الْيَوْمَ أُظِلُّهُمْ فِي ظِلِّي يَوْمَ لَا ظِلَّ إِلَّا ظِلِّي . رَوَاهُ مُسْلِمٌ
ব্যাখ্যাঃ في جلالي ‘‘আমার সম্মানে’’ অত্র হাদীসটি হাদীসে কুদসী। এখানে আল্লাহ তা‘আলা বললেন, আমার সম্মানে যারা ভালোবাসে এর অর্থ হলো শুধুমাত্র আল্লাহর সত্ত্বা ও সম্মানের খাতিরে যারা পরস্পর পরস্পরকে ভালোবাসে, এ ভালোবাসায় থাকে না কোন লৌকিকতা ও প্রবৃত্তি অনুসরণের ছাপ। যেমন অন্যত্রে মহান আল্লাহ বলেনঃ وَالَّذِينَ جَاهَدُوا فِينَا لَنَهْدِيَنَّهُمْ سُبُلَنَاঅর্থাৎ ‘‘যারা আমার পথে সংগ্রাম করে তাদেরকে আমি আমার সঠিক পথ দেখিয়ে দিব...।’’ (সূরাহ্ আল ‘আনকাবূত ২৯ : ৬৯)
নবী ও শাহীদগণ মর্যাদার উচ্চ আসনে থাকার পরেও পরস্পর পরস্পরকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসা স্থাপনকারীদের মর্যাদা অবলোকনে এর প্রতি আশা করবে। অপরদিকে শাহীদগণ মর্যাদার উচ্চাসন লাভ করার পরও আশা করবেন যে, পরস্পর পরস্পরকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসা স্থাপন কারীদের এ গুণ তারাও যদি অর্জন করতেন তাহলে তারা দু’ দিক দিয়ে মর্যাদা পেতেন। হাদীসের এ অংশটি দ্বারা নবী ও শাহীদগণের গিবতাহ্ উদ্দেশ্য, ঈর্ষা নয়। আর আল্লাহর জন্য পরস্পর পরস্পরকে ভালোবাসার গুণে গুনান্বিত ব্যক্তিদের মর্যাদার বিবরণ পেশ করা। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ২৩৯০)