পরিচ্ছেদঃ ১৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ
৪৯৫২-[৬] সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি এবং ইয়াতীমের লালন-পালনকারী, সে ইয়াতীম নিজের হোক বা অন্য কারো হোক জান্নাতে এরূপ হবো, এ কথা বলে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিজের তর্জনী ও মধ্যমা অঙ্গুলি দ্বারা ইঙ্গিত করলেন। তখন দু’ অঙ্গুলির মধ্যে সামান্য ব্যবধান ছিল। (বুখারী)[1]
بَابُ الشَّفَقَةِ وَالرَّحْمَةِ عَلَى الْخَلْقِ
وَعَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَنَا وَكَافِلُ الْيَتِيمِ لَهُ وَلِغَيْرِهِ فِي الْجَنَّةِ هَكَذَا» وَأَشَارَ بِالسَّبَّابَةِ وَالْوُسْطَى وفرَّجَ بَينهمَا شَيْئا. رَوَاهُ البُخَارِيّ
ব্যাখ্যাঃ অত্র হাদীসে ইয়াতীমদের প্রতি সদাচারণের কথা বলা হয়েছে। ‘কাফিলুল ইয়াতীম’ শব্দের অর্থ হলো ইয়াতীমের দায়ভার গ্রহণকারী ও তার কল্যাণকারী। নিজের অধীনে থাকা ইয়াতীম হোক বা অপর কারো অধীনে থাকা ইয়াতীম হোক। অধীনে থাকা ইয়াতীম কথাটির অর্থ হলো সে ঐ ইয়াতীমের দাদা অথবা চাচা অথবা বড় ভাই অথবা নিকটাত্মীয়। অথবা এমন হতে পারে যে, সন্তানের পিতা মারা গেলেন আর তার মাতা তার লালন পালনের পুরা দায়িত্ব নিলেন, এগুলো সবই ইয়াতীম পালনের অন্তর্ভুক্ত। ইমাম বাযযার আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন,
من كفل يتيما ذا قرابة أو لا قرابة له যে কেউ কোন ইয়াতীম লালন পালন করবে, সে তার নিকটাত্মীয় হোক বা না হোক সে উক্ত হাদীসে বর্ণিত সাওয়াব পাবে।
ইবনু বাত্ত্বল (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ ইয়াতীমের লালন-পালনের অফুরন্ত সাওয়াবের এ হাদীসটি যার কানে পৌঁছবে সে যেন এর উপর ‘আমল করে যাতে করে সে জান্নাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বন্ধু হতে পারে। আর আখিরাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বন্ধু হওয়া বড়ই সৌভাগ্যের বিষয়। (ফাতহুল বারী ১০ম খন্ড, হাঃ ৬০০৫)