৪৯২৩

পরিচ্ছেদঃ ১৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - অনুগ্রহ ও স্বজনে সদাচার

৪৯২৩-[১৩] ইবনু ’আমর হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষাকারী সে নয়, যার সাথে সম্পর্ক রক্ষা করা হচ্ছে; বরং আত্মীয়তা রক্ষাকারী সে, যার সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছে, আর সে সেই সম্পর্ককে যোজন করে আত্মীয়তার বন্ধন বহাল রেখেছে। (বুখারী)[1]

بَابُ الْبِرِّ وَالصِّلَةِ

وَعَنِ
ابْنِ عَمْرٍو قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «لَيْسَ الواصِلُ بالمكافىء
وَلَكِنَّ الْوَاصِلَ الَّذِي إِذَا قُطِعَتْ رَحِمُهُ وَصَلَهَا» . رَوَاهُ البُخَارِيّ

وعن ابن عمرو قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «ليس الواصل بالمكافىء ولكن الواصل الذي اذا قطعت رحمه وصلها» . رواه البخاري

ব্যাখ্যাঃ ভঙ্গুর এবং ক্ষয়িষ্ণু আত্মীয় সম্পর্ক পুনঃস্থাপন ও সংস্কারের ক্ষেত্রে হাদীসটি চরম গুরুত্বারোপ করেছে। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কোন লোকের আত্মীয় যদি তার প্রতি সম্পর্ক বজায় রাখে বিনিময় স্বরূপ সেও যদি সম্পর্ক বজায় রাখে এর নাম সিলাহ রাহেমী তথা আত্মীয়তার সম্পর্ক বহাল নয়, বরং কেউ আত্মীয় সম্পর্ক ছিন্ন করলে তার সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা বা বজায় রাখতে চেষ্টা করার নামই হলো সিলাহ রহিমী বা আত্মীয়তার সম্পর্ক বহাল রাখা।

আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষকারীর তিনটি স্তর হতে পারে-

১) পূর্ণ সম্পর্ককারী তিনি; যিনি বেশি দেন, নেন কম।

২) বিনিময় প্রদানকারী তিনি, যিনি যা নেন তার চেয়ে বেশি দেন না।

৩) সম্পর্ক ছিন্নকারী তিনি, যিনি নেনও না, দেনও না।

সম্পর্ক রাখা না রাখার বিষয়টি দু’ পক্ষর মধ্যে হয়ে থাকে, সম্পর্ক ছিন্ন বিষয়টিও দু’ পক্ষর মধ্যে হয়ে থাকে। যিনি সম্পর্ক বজায় রাখা শুরু করে তার নাম ওয়াসিল বা সম্পর্ক স্থাপনকারী, যদি অপর কেউ তার বিনিময় দেয় তাকে বলা হয় বিনিময় প্রদানকারী। (ফাতহুল বারী ১০ম খন্ড, হাঃ ৫৯৯১)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)