৪৯১৬

পরিচ্ছেদঃ ১৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - অনুগ্রহ ও স্বজনে সদাচার

৪৯১৬-[৬] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিজের মাতা-পিতাকে গালি দেয়া কাবীরাহ্ গুনাহসমূহের মধ্যে অন্যতম। সাহাবায়ি কিরাম জিজ্ঞেস করলেনঃ হে আল্লাহর রসূল! মানুষ কি তার পিতা-মাতাকে গালি দেয়? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ হ্যাঁ, সে কোন ব্যক্তির বাবা ও মাকে গালি দিল, সেই ব্যক্তিও তার বাবা ও মাকে গালি দিল। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ الْبِرِّ وَالصِّلَةِ

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مِنَ الْكَبَائِرِ شَتْمُ الرَّجُلِ وَالِدَيْهِ» . قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ وَهَلْ يَشْتُمُ الرَّجُلُ وَالِدَيْهِ؟ قَالَ: «نَعَمْ يَسُبُّ أَبَا الرَّجُلِ فَيَسُبُّ أَبَاهُ ويسبُّ أمه فيسب أمه» . مُتَّفق عَلَيْهِ

وعن عبد الله بن عمرو قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «من الكباىر شتم الرجل والديه» . قالوا: يا رسول الله وهل يشتم الرجل والديه؟ قال: «نعم يسب ابا الرجل فيسب اباه ويسب امه فيسب امه» . متفق عليه

ব্যাখ্যাঃ অত্র হাদীসে পিতামাতার অবাধ্য হওয়ার একটি দিক নিয়ে কথা বলা হয়েছে। মনে রাখার বিষয় হলো পিতা মাতাকে গালি দেয়ার কারণ সৃষ্টি করাই যদি সবচেয়ে বড় গুনাহ হয়ে থাকে তা হলো গালি দেয়া আরও বেশি বড় গুনাহ। ‘আদাবুল মুফরাদ’ নামক কিতাবে ‘উরওয়াহ্ ইবনু ইয়াস তিনি ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর থেকে শুনে বর্ণনা করেছেন। কোন ব্যক্তি তার পিতাকে গালি দিবে এটা কাবীরাহ্ গুনাহের অন্তর্গত। ইমাম মুসলিম ইয়াযীদ ইবনু আল-হাদ এর সূত্রে বর্ণনা করেন যে, পিতামাকে গালি দেয়া কাবীরাহ্ গুনাহের অন্তর্ভুক্ত।

(قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ وَهَلْ يَشْتُمُ الرَّجُلُ وَالِدَيْهِ؟) হাদীসের এ অংশটিতে পিতা-মাতাকে গালি দেয়ার বিষয়টি সাহাবীদের নিকট আশ্চর্যজনক ছিল। কিন্তু সুস্থ বিবেক এটা মানতে নারাজ, তাই তারা প্রশ্ন করেছিল- মানুষ কি তার পিতামাতাকে গালি দেয়? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিষয়টি পরিষ্কার করে বর্ণনা করেছেন যে, গালি যদিও দেয় না গালির কারণ সৃষ্টি করতে পারে। ইবনু বাত্ত্বল বলেনঃ এ হাদীসটি পাপের মাধ্যমকে বন্ধ করার ক্ষেত্রে মূলনীতি হিসেবে গৃহীত। (ফাতহুল বারী ১০ম খন্ড, হাঃ ৫৯৭৩)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)