পরিচ্ছেদঃ ১২. প্রথম অনুচ্ছেদ - ঠাট্টা ও কৌতুক প্রসঙ্গে
শার’ঈ ঠাট্টা ও কৌতুকের কতিপয় শর্ত আছে :
১। ঠাট্টা ও কৌতুক করার সময় সামান্য পরিমাণেও দীনকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করা যাবে না। কারণ এটি হলো ইসলাম ভঙ্গের কারণ। মহান আল্লাহ বলেনঃ
وَلَئِنْ سَأَلْتَهُمْ لَيَقُولُنَّ إِنَّمَا كُنَّا نَخُوضُ وَنَلْعَبُ قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِه وَرَسُولِه كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُونَ ৬৫ لَا تَعْتَذِرُوا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيمَانِكُمْ
’’তাদেরকে জিজ্ঞেস করলে তারা জোর দিয়েই বলবে, ’আমরা হাস্য রস আর খেল-তামাশা করছিলাম।’ বল, ’আল্লাহ, তাঁর আয়াত ও তাঁর রসূলকে নিয়ে তোমরা বিদ্রূপ করছিলে?’ ওযর পেশের চেষ্টা করো না, ঈমান আনার পর তোমরা কুফরী করেছ...।’’ (সূরাহ্ আত্ তওবা্ ৯ : ৬৫-৬৬)
ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ্ (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ ’’মহান আল্লাহ, তাঁর আয়াত ও তাঁর রসূলকে নিয়ে ঠাট্টাকারী ব্যক্তি ঈমান আনার পরে কাফির হয়ে যায়।’’
অনুরূপভাবে কতিপয় সুন্নাতকে নিয়েও ঠাট্টা করার ব্যাপারটি, যা খুবই বিস্তার লাভ করেছে। যেমন- দাড়ি, পর্দা ও টাকনুর উপর কাপড় পরিধান করা ইত্যাদি।
(المجموع الثمين) ’’আল মাজমূ’উস্ সামীন’’ কিতাবের ১/৬৩ পৃষ্ঠায় শায়খ মুহাম্মাদ ইবনু উসায়মীন (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ রব, রিসালাত, ওয়াহী ও দীনের কোন বিষয় নিয়ে ঠাট্টা ও কৌতুক করা হারাম। ঠাট্টা-বিদ্রূপ করা বা কাউকে হাসানোর জন্য এরূপ কাজ করা কারো জন্যে বৈধ নয়। যদি কেউ এরূপ করে তবে সে কাফির। কারণ সে মূলত আল্লাহ, তাঁর রসূল, তাঁর কিতাব ও তার শারী’আত নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করল। উপরোক্ত কেউ এরূপ কাজ করে ফেললে, তার কর্মের কারণে তাকে মহান আল্লাহর নিকট তওবা্ করতে হবে। কারণ এটি এক প্রকারের নিফাক (মুনাফিক্বী)। তার উচিত হলো মহান আল্লাহর কাছে তওবা্ করা, ইসতিগফার করা, তার কাজকে শুধরে নেয়া, তার অন্তরে মহান আল্লাহর ভয় রাখা, তাকে সম্মান করা, ভয় করা ও তাকে ভালোবাসা।
২। ঠাট্টা ও কৌতুক সত্য হতে হবে : রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ وَيْلٌ لِلَّذِي يُحَدِّثُ فَيَكْذِبُ لِيُضْحِكَ بِهِ الْقَوْمَ، وَيْلٌ لَهٗ وَيْلٌ لَهٗ ঐ ব্যক্তির জন্য দুর্ভোগ! যে জাতিকে হাসানোর জন্য মিথ্যা কথা বলে। তার জন্য দুর্ভোগ। সুতরাং এ মারাত্মক অপরাধ থেকে বিরত রাখাই হলো রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উদ্দেশ্য। (আবূ দাঊদ হাঃ ৪৯৯০ : হাসান)
৩। ভয় দেখানো যাবে না : বিশেষ করে শক্তিশালী ব্যক্তি দুর্বলকে অথবা হাতে অস্ত্র নিয়ে অথবা লোহার টুকরা নিয়ে অথবা লাঠি নিয়ে কোন ব্যক্তিকে ঠাট্টা ও কৌতুক করা যাবে না। কারণ এতে করে তারা ভীত হয়ে পড়ে। আবূ লায়লা (রহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথীরা (সাহাবীরা) আমাদেরকে হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, তারা একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সফর করেছিলেন। এমন সময় তাদের মধ্যকার এক লোক ঘুমিয়ে পড়লে তাদের কেউ কেউ গিয়ে একটা রশি এনে ঐ লোকের সামনে ধরলে সে ভয় পেয়ে যায়। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,
لَا يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ أَنْ يُرَوِّعَ مُسْلِمًا কোন মুসলিমকে ভয় দেখানো কোন মুসলিমের জন্য বৈধ নয়। (আবূ দাঊদ হাঃ ৫০০৪ : সহীহ)
৪। ঠাট্টা-বিদ্রূপ কটাক্ষ ও দুর্নাম না করা : মানুষের স্তর বহু রকমের হয়। এটা হয় তার জ্ঞানের দিক থেকে ব্যক্তিত্বের দিক থেকে। কতক মানুষ মনের দিক থেকে দুর্বল হয়। নিজের চেয়ে কম বুদ্ধিসম্পন্ন ও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন লোকের সাথে মানুষ ঠাট্টা-বিদ্রূপ ও কটাক্ষ করে। অথচ এ থেকে মহান আল্লাহ সতর্ক ও সাবধান করেছেন- দেখুন, সূরাহ্ আল হুজুরাত ১১নং আয়াত।
يٰاَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا يَسْخَرْ قَوْمٌ مِنْ قَوْمٍ عَسٰى أَنْ يَكُونُوا خَيْرًا مِنْهُمْ وَلَا نِسَاءٌ مِنْ نِسَاءٍ عَسٰى أَنْ يَكُنَّ خَيْرًا مِنْهُنَّ وَلَا تَلْمِزُوا أَنْفُسَكُمْ وَلَا تَنَابَزُوا بِالْأَلْقَابِ بِئْسَ الِاسْمُ الْفُسُوقُ بَعْدَ الْإِيمَانِ
’’হে মু’মিনগণ! কোন সম্প্রদায় যেন অন্য সম্প্রদায়কে ঠাট্টা-বিদ্রূপ না করে, হতে পারে তারা বিদ্রূপকারীদের চেয়ে উত্তম। আর নারীরা যেন অন্য নারীদেরক ঠাট্টা-বিদ্রূপ না করে, হতে পারে তারা বিদ্রূপকারিণীদের চেয়ে উত্তম। তোমরা একে অন্যের নিন্দা করো না, একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। ঈমান গ্রহণের পর (ঈমানের আগে কৃত অপরাধকে যা মনে করিয়ে দেয় সেই) মন্দ নাম কতই না মন্দ!...’’ (সূরাহ্ আল হুজুরাত ৪৯ : ১১)
এ আয়াতের তাফসীরে ইমাম ইবনু কাসীর (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এ আয়াত থেকে উদ্দেশ্য হলো তাদেরকে তুচ্ছ মনে করা, হেয় পতিপন্ন করা ও ঠাট্টা-বিদ্রূপ করা। আর এগুলো হারাম যা মুনাফিকদের বৈশিষ্ট্য হিসেবে গণ্য হবে।
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঠাট্টা-বিদ্রূপ তথা উপহাস ও কষ্ট দেয়া থেকে সাবধান করেছেন, কারণ তা শত্রুতা ও হিংসা-বিদ্বেষের রাস্তা, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
...الْمُسْلِمُ أَخُو الْمُسْلِمِ، لَا يَظْلِمُهٗ وَلَا يَخْذُلُهٗ، وَلَا يَحْقِرُهُ التَّقْوٰى هَاهُنَا وَيُشِيرُ إِلٰى صَدْرِهِ ثَلَاثَ مَرَّاتٍبِحَسْبِ امْرِئٍ مِنَ الشَّرِّ أَنْ يَحْقِرَ أَخَاهُ الْمُسْلِمَ، كُلُّ الْمُسْلِمِ عَلَى الْمُسْلِمِ حَرَامٌ، دَمُهٗ، وَمَالُهٗ، وَعِرْضُهٗ
...এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই। সে তাকে জুলুম করবে না। তাকে লাঞ্ছিত ও তুচ্ছ মনে করবে না। তাকওয়া এখানে থাকে। এ বলে তিনি তার বুকের দিকে তিনবার ইশারা করলেন। কোন লোকের খারাপ হওয়ার জন্য এতটুকু যথেষ্ট যে, সে তার মুসলিম ভাইকে তুচ্ছ মনে করবে। প্রত্যেক মুসলিম একে অন্যের উপর হারাম, তার রক্ত, তার সম্পদ ও তার সম্মান হরণ করা। (মুসলিম হাঃ ৩২-[২৫৬৪])
৫। ঠাট্টা ও কৌতুক বেশি পরিমাণে না করা : কিছু মানুষ অতিরিক্ত ঠাট্টা ও কৌতুক করে। এর ফলে সে মানুষের নিকট মূল্যহীন হয়ে পড়ে। অথচ এটি একজন মু’মিনের বৈশিষ্ট্য নয়। আত্মার প্রশান্তির জন্য ও সুস্থ বিনোদনের জন্য এর অনুমোদন আছে। ’উমার ইবনু ’আবদুল ’আযীয (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ "اتقوا المزاح، فإنه حمقة تورث الضعينة" ’তোমরা ঠাট্টা ও কৌতুক থেকে সাবধান থাক, কেননা তা হলো নির্বুদ্ধিতা, যা বিদ্বেষ ও শত্রুতা ছড়িয়ে দেয়।
৬। মানুষের পরিমাপ জানা : কতক মানুষ বাছ-বিচার না করেই সবার সাথে ঠাট্টা ও কৌতুক করে। অথচ জ্ঞানী ব্যক্তির (’আলিমের) হক আছে, বড় মানুষের হক আছে, মুরুববী মানুষেরও হক আছে। এজন্য মানুষের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে আগে জানা উচিত। বোকা, নির্বোধ ও পাগলের সাথে ঠাট্টা করা উচিত নয়। অনুরূপভাবে অপরিচিত ব্যক্তির সাথেও। এ বিষয়ে ’উমার ইবনু ’আবদুল ’আযীয (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ
"اتقوا المزاح، فإنه يذهب المروءة" ’’তোমরা ঠাট্টা ও কৌতুক থেকে সাবধান থাক, কেননা তা ব্যক্তিত্বকে নিয়ে যায়।’’
সা’দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস বলেন,
"إقتصر فى مزاحك، فإن الإفراط فيه يذهب البهاء، ويجرىّ عليك السفهاء"
’তুমি ঠাট্টা ও কৌতুক কম কর, কেননা তা বেশি করা সৌন্দর্য ও জ্যোতিকে নিয়ে যায়। আর তোমাকে নির্বুদ্ধিতার উপর ছেড়ে যায়।’
৭। ঠাট্টা ও কৌতুকের পরিমাণ তরকারীতে লবণের পরিমাণের মত হবে : এ বিষয়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ لا تكثر الضحك فإن كثرة الضحك تميت القلب ’তোমরা বেশি বেশি হাসিও না, কারণ অতিরিক্ত হাসি অন্তরকে মেরে ফেলে।’ (সহীহুল জামি’ ৭৪৩৫)
৮। ঠাট্টা ও কৌতুকের মাঝে গীবত না থাকা : এটা একটা অপবিত্র রোগ। কিছু মানুষ এটা ঠাট্টা-বিদ্রূপের ছলে করে বসে। তবুও এটা গীবত হবে। কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ذِكْرُكَ أَخَاكَ بِمَا يَكْرَهٗ ’তোমার ভাইয়ের এমন বিষয় উল্লেখ করা যা সে অপছন্দ করে।’ (মুসলিম হাঃ ৭০-[২৫৮৯])
৯। ঠাট্টা ও কৌতুক করার জন্য একটি উপযোগী সময় নির্বাচন করা : সেটা হতে পারে শীতকালীন ছুটি অথবা গ্রীষ্মকালীন ছুটি অথবা বন্ধুর সাথে সাক্ষাতের সময়। তার সাথে বুদ্ধি খাটিয়ে, আশ্চর্যজনক বিষয়ে যাতে চিন্তার খোরাক থাকে এমন সামান্য পরিমাণে ঠাট্টা ও কৌতুক করবে। যাতে করে অন্তরে ভালোবাসা বৃদ্ধি হয় এবং মনে আনন্দ হয়।
(বিস্তারিত দেখুন : ’আবদুল মালিক আল কাসিম-এর ’’মা হিয়া শুরুত্বুল মিযাহিশ্ শার’ঈ’’ নামক প্রবন্ধটি, অনলাইন থেকে সংগৃহীত, সম্পাদক)
৪৮৮৪-[১] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সাথে উৎফুল্ল মেজাজ ও সম্প্রীতি প্রদর্শন করতেন। এমনকি আমার ছোট ভাইকেও জিজ্ঞেস করতেন : হে আবূ ’উমায়র! তোমার ছোট্ট বুলবুলি কি করল? ’উমায়র-এর একটি ছোট্ট বুলবুল পাখি ছিল। সে সেটা নিয়ে খেলা করত। পাখিটি মরে গিয়েছিল। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
بَابُ الْمُزَاحِ
عَن أنس قَالَ: إِنْ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيُخَالِطُنَا حَتَّى يَقُولَ لِأَخٍ لِي صَغِيرٍ: «يَا أَبَا عُمَيْرٍ مَا فَعَلَ النُّغَيْرُ؟» كَانَ لَهُ نُغَيْرٌ يَلْعَبُ بِهِ فَمَاتَ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
ব্যাখ্যাঃ (كَانَ النَّبِىُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيُخَالِطُنَا) অর্থাৎ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সাথে উঠাবসা করতেন এবং আমাদের সাথে সামাজিক আচার-আচরণ করতেন। আর আমাদের সাথে বসে হাস্য-কৌতুক করতেন। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
(لِأَخٍ لِي صَغِيرٍ) এখানে আবূ ‘উমায়র (রাঃ) হলেন আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-এর বৈপিত্রেয় ভাই। অর্থাৎ মা এক, আর পিতা দু‘জন। মুসনাদে আহমাদের এক বর্ণনায় আছে, وكان لها من أبي طلحة ابن يكنى أبا عمير অর্থাৎ আনাস (রাঃ)-এর মা উম্মু সুলায়ম (রাঃ)-এর স্বামী তথা আনাস (রাঃ)-এর পিতা মারা গেলে তিনি দ্বিতীয়বার আবূ ত্বলহাহ্ (রাঃ)-এর সাথে বিয়ে করলে আবূ ‘উমায়র উপনামে এক সন্তান হয়।
(ফাতহুল বারী ১০ম খন্ড, হাঃ ৬২০৩)
(مَا فَعَلَ النُّغَيْرُ؟) نُغَيْرُ (নুগায়র) শব্দটি نغر-এর তাসগীর বা ক্ষুদ্রকরণ। এটা একটা পাখির নাম যা চড়ুই পাখির সাথে সাদৃশ্য রাখে। তবে তার ঠোট লাল রংয়ের। বলা হয়েছে যে, এটা চড়ুই পাখির নাম। এও বলা হয়েছে যে, এটা চড়ুই পাখি যার ঠোট ছোট আর মাথা লাল। বলা হয়েছে যে, মদীনাবাসী একে বুলবুল নামে ডাকে। বাক্যটির অর্থ হলো নুগায়র কোথায় চলে গেল যে, আমি তাকে তোমার সাথে দেখছি না।
বুখারী মুসলিমের বর্ণনায় আছে যে, নুগায়র নামের পাখিটির সাথে সে খেলত। তবে পাখিটি মারা গিয়েছিল। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এ কথাটি ছিল তার জন্য সান্তবনাস্বরূপ, কারণ সে পাখিটিকে হারিয়ে ব্যথিত ছিল। ‘আল্লামা ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আনাস -এর পরিবারের সাথে এমনভাবে মিশেছিলেন যে, তাদের পরিবারের সকলের খোঁজ-খবর রাখতেন। একটা ছোট ছেলে কি নিয়ে খেলে তিনি তারও খোঁজ রাখতেন। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ১৯৮৯)
হাদীসটির বাস্তবিক শিক্ষা : হাদীসের মধ্যে অনেক শিক্ষা রয়েছে, তন্মধ্যে-
১। সন্তান না থাকলেও উপনাম ব্যবহার করা জায়িয। ২। শিশু সন্তানের উপনাম রাখলে মিথ্যা হবে না- (‘আওনুল মা‘বূদ ৮ম খন্ড, হাঃ ৪৯৬১)। ৩। খাদেমের/কর্মচারীর পরিবারের খোঁজ-খবর রাখার শিক্ষা পাওয়া যায়। ৪। ছোটদের আনন্দিত করার জন্য ন্যায়সঙ্গত ঠাট্টা ও কৌতুক করা দোষণীয় নয়, বরং সম্পূর্ণভাবে বৈধ। ৫। কথা বলার সময় ছন্দ মিলিয়ে কথা বলাতে দোষের কিছু নেই। (সম্পাদক)