পরিচ্ছেদঃ ১০. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৭৬-[৬৫] আনাস (রাঃ)-এর বর্ণনায় আছে যে, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যিনাকারী বা ব্যভিচারী তওবা্ করে; কিন্তু পরোক্ষ নিন্দাকারীর জন্য তওবা্ নেই। [উপরিউক্ত তিনটি হাদীস ইমাম বায়হাক্বী (রহিমাহুল্লাহ) ’’শু’আবুল ঈমানে’’ বর্ণনা করেছেন।][1]
وَفِي رِوَايَةِ
أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: «صَاحِبُ الزِّنَا يَتُوبُ وَصَاحِبُ الْغِيبَةِ لَيْسَ لَهُ تَوْبَةٌ» . رَوَى الْبَيْهَقِيُّ الْأَحَادِيثَ الثَّلَاثَةَ فِي «شُعَبِ الْإِيمَانِ»
হাদীসটি মাওযূ‘ হওয়ার কারণ, এর সনদে ‘‘আহমাদ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু জামীল ইবনু মিহরান’’ নামের বর্ণনাকারী মাজহূলুল হাল এবং অজ্ঞাত। আরো এক ব্যক্তি আছে যার পরিচয় জানা যায়নি (عن رجل)। জাওয়ামিউল কালিম সফটওয়্যার।
ব্যাখ্যাঃ (صَاحِبُ الزِّنَا يَتُوبُ) যিনাকারীর পক্ষ থেকে তাওবার আশা করা যায় অথবা তার নিকট বড় অপরাধ হওয়ায় অধিকাংশ সময় নিজেই তাওবাহ্ করে থাকে।
(وَصَاحِبُ الْغِيبَةِ لَيْسَ لَهٗ تَوْبَةٌ) কিন্তু গীবতকারীর জন্য তাওবার সুযোগ নেই। অর্থাৎ গীবতকারী অধিকাংশ সময় বিষয়টিকে সহজ ভেবে তাওবাহ্ করে না অথচ এটা আল্লাহর নিকট বিরাট অপরাধ অথবা গীবতকারী এ ব্যাপারে সন্তুষ্টচিত্তে থাকায় তার স্বতন্ত্র কোন তাওবার সুযোগ হয় না। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)