পরিচ্ছেদঃ ৯. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - বক্তৃতা ও কবিতা আবৃত্তি
৪৮১০-[২৮] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ গান-বাজনা মানুষের অন্তরে কপটতা উৎপাদন করে, যেভাবে পানি শস্য উৎপাদন করে। [ইমাম বায়হাক্বী (রহিমাহুল্লাহ) ’’শু’আবুল ঈমান’’-এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।][1]
وَعَنْ
جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْغِنَاءُ يُنْبِتُ النِّفَاقَ فِي الْقَلْبِ كَمَا يُنْبِتُ الْمَاءُ الزَّرْعَ» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي «شعب الْإِيمَان»
হাদীসটি য‘ঈফ হওয়ার কারণ, এর সনদে আছে, ‘‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয ইবনু আবী রওয়াদ’’ নামের বর্ণনাকারীর ব্যাপারে। আবূ হাতিম ও অন্যান্যরা বলেছেন, তার বর্ণিত হাদীসগুলো মুনকার। য‘ঈফাহ্ ৫/৪৫১, হাঃ ২৪৩০, আবূ দাঊদ ৪৯২৭, এর সকল বর্ণনাকারী বিশ্বস্ত কেবল ‘সাল্লাম’ নামের বর্ণনাকারীর শায়খ ছাড়া, কারণ তিনি তার শায়খের নাম উল্লেখ করেননি। কাজেই সে একজন মাজহূল। দেখুন- য‘ঈফাহ্ ২৪৩, য‘ঈফুল জামি‘ ৩৯৩৭, আস্ সুনানুস্ সুগরা ৪৬৬৯, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ২১৫৩৬।
ব্যাখ্যাঃ গানের ব্যাপারে ইমামদের মতামত :
ইমাম শাফি‘ঈ (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ যে ব্যক্তি সর্বদা গান শুনে এবং প্রকাশ্যে গান গায় তার সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয় আর যে ব্যক্তি কম শুনে তার সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য।
ইমাম নাবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ বাজনা ছাড়া খালি গলায় গান গাওয়া ও শুনা মাকরূহ (অপছন্দনীয়)। আর গীটার তবলা এবং ঢোল ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্র দ্বারা গান গাওয়া ও শুনা হারাম। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)