৪৭৯৩

পরিচ্ছেদঃ ৯. প্রথম অনুচ্ছেদ - বক্তৃতা ও কবিতা আবৃত্তি

৪৭৯৩-[১১] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আহযাবের যুদ্ধে মুহাজির ও আনসারগণ পরিখা খনন ও মাটি সরাতে লাগল, আর বলতে লাগল- আমরা ঐ লোক, যারা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাতে জিহাদের জন্য বায়’আত করেছি, যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা জীবিত থাকি।’’ তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁদের জবাবে বললেনঃ ’’হে আল্লাহ! পরকালের জীবন ছাড়া আর কোন জীবন নেই। তুমি আনসার ও মুহাজিরদেরকে ক্ষমা করো।’’ (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ الْبَيَانِ وَالشِّعْرِ

وَعَن أنسٍ قَالَ: جَعَلَ الْمُهَاجِرُونَ وَالْأَنْصَارُ يَحْفِرُونَ الْخَنْدَقَ وَيَنْقُلُونَ الترابَ وهم يَقُولُونَ:
نَحن الذينَ بَايعُوا محمَّداً عَلَى الْجِهَادِ مَا بَقِينَا أَبَدَا
يَقُولُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يُجِيبُهُمْ:
اللَّهُمَّ لَا عَيْشَ إِلَّا عَيْشُ الْآخِرَهْ فَاغْفِرْ لِلْأَنْصَارِ والمهاجرة
مُتَّفق عَلَيْهِ

وعن انس قال: جعل المهاجرون والانصار يحفرون الخندق وينقلون التراب وهم يقولون: نحن الذين بايعوا محمدا على الجهاد ما بقينا ابدا يقول النبي صلى الله عليه وسلم وهو يجيبهم: اللهم لا عيش الا عيش الاخره فاغفر للانصار والمهاجرة متفق عليه

ব্যাখ্যাঃ (اَللّٰهُمَّ لَا عَيْشَ إِلَّا عَيْشُ الْآخِرَهْ) এর মাধ্যমে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আখিরাতী জীবনের স্থায়িত্ব বুঝিয়েছেন। যে ব্যাপারে একাধিক কুরআনের আয়াত পাওয়া যায়।

আল্লাহ বলেনঃ (وَالْآخِرَةُ خَيْرٌ وَّأَبْقٰى) ‘‘অথচ আখিরাতই অধিক উৎকৃষ্ট ও স্থায়ী।’’ (সূরাহ্ আল আ‘লা- ৮৭ : ১৭)

وَقَالَ النَّوَوِيُّ: هُوَ مَا يَسُدُّ الرَّمَقَ. وَقَالَ الْقُرْطُبِيُّ أَيْ: مَا يَقْرِيهِمْ وَيَكْفِيهِمْ بِحَيْثُ لَا يُشْعِرُهُمُ بِالْجَهْدِ وَلَا يُرْهِقُهُمُ الْفَاقَةُ وَلَا تُذِلُّهُمُ الْمَسْأَلَةُ وَالْحَاجَةُ، وَلَا يَكُونُ فِي ذَلِكَ أَيْضًا فُضُولٌ يُخْرِجُ إِلَى التَّرَفُّهِ وَالتَّبَسُّطِ فِي الدُّنْيَا وَالرُّكُونِ إِلَيْهَا

ইমাম নাবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ আখিরাত (দুনিয়াবী) আকাঙক্ষাকে নিয়ন্ত্রণ করে। আর কুরতুবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ আখিরাতমুখী তাদেরকে সীমিত করে দেয় যাতে তাদের কষ্টানুভব হয় না। আর হারিয়ে যাওয়ার ভয় থাকে না এবং কোন প্রয়োজন বা চাওয়া তাদেরকে লাঞ্ছিত করে না। আর এটা তাদের জন্য অতিরিক্ত হবে না। এটা দুনিয়াতে তাদেরকে প্রশস্ততা দিবে এবং পরকালমুখী করবে।

‘আল্লামা ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এ কথা বলার মাধ্যমে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বুঝাতে চেয়েছেন যে, সাহাবীরা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে যে ওয়া‘দা করেছেন তা যদি পূর্ণ করেন তাহলে তাদেরকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রতিদান দান করবেন যা একমাত্র আখিরাতে পাবে। কেননা আখিরাত হলো চিরস্থায়ী। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)