পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাম
৪৬৫৬-[২৯] আবুল ’আলা ইবনুল হাযরামী হতে বর্ণিত। ’আলা ইবনুল হাযরামী (রাঃ) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কর্মচারী ছিলেন। যখন তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে চিঠি লিখতেন, তখন নিজের নাম দিয়ে আরম্ভ করতেন। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَن أبي
الْعَلَاء بن الْحَضْرَمِيّ أَنَّ الْعَلَاءَ الْحَضْرَمِيَّ كَانَ عَامِلَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَ إِذَا كَتَبَ إِليه بدأَ بنفسِه. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
হাদীসটি য‘ঈফ হওয়ার কারণ, এর সনদে আছে ‘‘ইবনুল ‘আলা’’ যার অজ্ঞতার কারণে হাদীসটি য‘ঈফ। দেখুন- হিদায়াতুর্ রুওয়াত ৪/৩১৭ পৃঃ।
ব্যাখ্যাঃ ‘আলা ইবনুল হাযরামী (রাঃ) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাহরায়নে নিযুক্ত কর্মচারী ছিলেন। প্রথম ও দ্বিতীয় খলীফা আবূ বকর ও ‘উমার (রাঃ) তাকে আমৃত্যু উক্ত পদে ১৪ বছর যাবৎ বহাল রাখেন।
এ হাদীস থেকে স্পষ্টভাবে বুঝা যায় যে, লেখকের নিজের নাম দ্বারা কোন চিঠি লেখা আরম্ভ করা সুন্নাত। যার প্রমাণ সরাসরি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক হিরাক্বিল বাদশাহর নিকটে প্রদত্ত চিঠি থেকে পাওয়া যায়। তাতে লিখা ছিল بسم الله الرحمن الرحيم من محمد عبد الله ورسوله الى هرقل .....الخ।
হাফিয ইবনু হাজার ‘আসকালানী (রহিমাহুল্লাহ) তাঁর জগদ্বিখ্যাত গ্রন্থ ‘ফাতহুল বারীতে’ এ হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেনঃ এতে প্রমাণ হয় যে, নিজের পক্ষ থেকে চিঠি লেখা আরম্ভ করা সুন্নাত। এটা জামহূর মুহাদ্দিসের মত, এমনকি নুহাস (রহিমাহুল্লাহ) এ ব্যাপারে সাহাবীদের ইজমার দাবী করেন। তবে সঠিক হলো এর বিপরীত। (‘আওনুল মা‘বূদ ৮ম খন্ড, হাঃ ৫১২৫)