পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাম
৪৬৪৯-[২২] ’আমর ইবনু শু’আয়ব তাঁর পিতার মাধ্যমে তাঁর পিতামহ হতে বর্ণনা করেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমাদের ছাড়া অন্য জাতির সাথে সাদৃশ্য করে সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। তোমরা ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানদের সাথে সাদৃশ্য করো না। কেননা ইয়াহূদীরা অঙ্গুলির ইশারায় সালাম দেয়, আর খ্রিষ্টানরা হাতের তালু দ্বারা সালাম করে। [ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেন, এ হাদীসের সানাদ দুর্বল।][1]
وَعَنْ
عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَيْسَ مِنَّا مَنْ تَشَبَّهَ بِغَيْرِنَا لَا تَشَبَّهُوا بِالْيَهُودِ وَلَا بِالنَّصَارَى فَإِنَّ تَسْلِيمَ الْيَهُودِ الْإِشَارَةُ بِالْأَصَابِعِ وَتَسْلِيمَ النَّصَارَى الْإِشَارَةُ بِالْأَكُفِّ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: إِسْنَاده ضَعِيف
ব্যাখ্যাঃ (لَيْسَ مِنَّا) এর অর্থ আমাদের তরীকার অনুসারী নয় এবং আমাদের অনুসরণের প্রতি যত্নবান নয়। কাজেই তোমরা তাদের যাবতীয় কর্মকাণ্ড- কোনরূপ সাদৃশ্যতা অবলম্বন করো না। বিশেষভাবে এ দুই ক্ষেত্রে। কারণ হয়ত তারা সালাম দেয়ার সময় অথবা সালামের জবাবে অথবা উভয় ক্ষেত্রে হাত মুড়িয়ে বেঁধে ইশারা করে থাকত সালাম উচ্চারণ না করেই।
ইমাম নাবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ আসমা বিনতু ইয়াযীদ (রাঃ)-এর হাদীস থাকতে জাবির -এর হাদীসকে একেবারে প্রত্যাখ্যান করা যায় না। আসমা (রাঃ)-এর হাদীসে রয়েছে, একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদের ভিতর দিয়ে গমন করছিলেন, তখন একদল নারী সেথায় বসে ছিল। অতঃপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাত নাড়িয়ে সালাম প্রদান করলেন। (তিরমিযী হাঃ ২৬৯৭)
এ হাদীসে এটা সম্ভাবনা রয়েছে যে, তিনি হাতের ইশারা ও সালাম উচ্চারণ উভয়টি করেছেন। আবার আবূ দাঊদ-এর বর্ণনায় আসমা (রাঃ)-এর হাদীসে রয়েছে, فسلم علينا অর্থাৎ তিনি আমাদেরকে সালাম দিলেন। অতএব এটা আরো স্পষ্ট হয়ে গেল। বস্তুত যে ব্যক্তি শার‘ঈ পদ্ধতিতে ভালোভাবে সালাম প্রদান করতে সক্ষম তার জন্য ইশারায় সালাম দেয়া নিষিদ্ধ। এছাড়া যে ব্যক্তি ব্যস্ততার কারণে সালামের জবাব উচ্চারণ করতে বাধাপ্রাপ্ত হয় যেমন সালাতরত ব্যক্তি দূরবর্তী ব্যক্তি এবং বোবা ব্যক্তির সালামের জবাব দেয়া অনুরূপভাবে বধির ব্যক্তিকে ইশারায় সালাম দেয়াও জায়িয। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৭ম খন্ড, হাঃ ২৬৯৫)