পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - জ্যোতিষীর গণনা
৪৫৯৩-[২] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, কিছু লোক রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জ্যোতিষীদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে বললেনঃ তারা কিছুই নয়। তারা বলল : হে আল্লাহর রসূল! তারা কোন কোন সময় এমন কথা বলে, যা সত্য ও সঠিক হয়ে থাকে। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ঐ কথাটি সত্য যা জীন শয়তান (ঊর্ধ্বজগৎ হতে) ত্বরিত শুনে নেয়। অতঃপর মোরগের করকরানোর মতো শব্দ করে তার বন্ধুর কানে তা পৌঁছিয়ে দেয়। এরপর সে গণক ঐ একটি সত্য কথার সাথে শত শত মিথ্যা মিলিয়ে প্রকাশ করতে থাকে। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
بَابُ الْكِهَانَةِ
وَعَن عَائِشَة قَالَتْ: سَأَلَ أُنَاسٌ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْكُهَّانِ فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّهُمْ لَيْسُوا بِشَيْءٍ» قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ فَإِنَّهُمْ يُحَدِّثُونَ أَحْيَانًا بِالشَّيْءِ يَكُونُ حَقًّا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تِلْكَ الْكَلِمَةُ مِنَ الْحَقِّ يَخْطَفُهَا الْجِنِّيُّ فَيَقُرُّهَا فِي أُذُنِ وَلَيِّهِ قَرَّ الدَّجَاجَةِ فَيَخْلِطُونَ فِيهَا أَكْثَرَ مِنْ مِائَةِ كذبة»
ব্যাখ্যাঃ (لَيْسُوا بِشَيْءٍ) অর্থাৎ নির্ভর করার মতো। অতএব তোমরা তাদের সংবাদের উপর নির্ভর করো না এবং তাদের সংবাদকে বিশ্বাস করো না।
(تِلْكَ الْكَلِمَةُ مِنَ الْحَقِّ) অর্থাৎ বাস্তব বিষয় এবং প্রতিষ্ঠিত সত্য যা তারা সেসব মালায়িকাহ্ (ফেরেশতাদের) থেকে চুরি করে শুনে যারা ওয়াহীর মাধ্যমে সত্য খবর পেয়েছে অথবা তাদের জন্য লাওহে মাহফূযে সংরক্ষেত খবর থেকে উন্মোচিত করা হয়েছিল সেখান থেকে নিয়েছে। অন্য বর্ণনায় এসেছে, তারা জীনদের থেকে শুনেছে অর্থাৎ জীনদের চুরি করা সত্য সংবাদ তারা শুনেছে। আর বাস্তবিক অর্থে এর মধ্যে কোন বৈপরীত্য নেই। তারা শুনেছে জীনদের থেকে আর জিনেরা চুরি করে শুনেছে মালায়িকাহ্’র কাছ থেকে। যেমনটি প্রমাণ করে তাঁর কথা (يَخْطَفُهَا الْجِنِّيُّ) অর্থাৎ খুবই দ্রুত মালায়িকাহ্’র থেকে তারা তা চুরি করে নিয়ে আসে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)।
(فِي أُذُنِ وَلَيِّهِ قَرَّ الدَّجَاجَةِ) ইমাম খত্ত্বাবী (রহিমাহুল্লাহ) ও অন্য একজন বলেনঃ জীন তার জ্যোতিষী বন্ধুর কাছে কথাবার্তা বলে দেয়। ফলে শায়ত্বনেরা তা শুনে ফেলে যেমনিভাবে মুরগী তার কৃত আওয়াজ দিয়ে তাদের বন্ধুদেরকে জাগিয়ে দেয় ফলে তারা তার ডাকে সাড়া দেয়। (শারহুন নাবাবী ১৪শ খন্ড, হাঃ ২২২৮)
(فَيَخْلِطُونَ فِيهَا أَكْثَرَ مِنْ مِائَةِ كذبة) এটি বেশি পরিপূর্ণ তারা একশ’বার মিথ্যা বলে এ কথার চেয়ে। কেননা সে একটি মিথ্যা কথা বার বার বলার কারণে সত্যবাদী হয় এভাবে একশ’বার হয়। যদিও অর্থে একশ’বার নেয়া হয় তবে যথেষ্ট হবে। অথবা বলা হয়, একশ’ মিথ্যা। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)