পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - শুভ ও অশুভ লক্ষণ
৪৫৮৬-[১১] সা’দ ইবনু মালিক হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্যাঁচার মধ্যে কুলক্ষণের কিছুই নেই। রোগের মধ্যে সংক্রামক বলতে কিছুই নেই এবং কোন কিছুর মধ্যে অশুভ লক্ষণ নেই। তবে হ্যাঁ, যদি কোন কিছুতে অকল্যাণ থাকে তবে ঘর, ঘোড়া এবং নারীর মধ্যে থাকবে। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَن سعدِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا هَامَةَ وَلَا عَدْوَى وَلَا طِيَرَةَ وَإِنْ تَكُنِ الطِّيَرَةُ فِي شَيْءٍ فَفِي الدَّارِ وَالْفرس وَالْمَرْأَة» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যাঃ (وَإِنْ تَكُنِ الطِّيَرَةُ) অর্থাৎ কুলক্ষণ যদি সঠিক হত, অথবা ঘটত, অথবা পাওয়া যেত। এখানে (وَإِنْ تَكُنِ) ইস্তিসনা-এর জায়গায় বা ভূমিকায় এসেছে। অর্থাৎ কোন কিছুতে অকল্যাণ নেই কেবল এ তিনটি জিনিসের ক্ষেত্রে ব্যতীত। এখানে সংবাদ দেয়া হয়েছে যে, এ তিনটিতে বেশি ক্ষেত্রে অকল্যাণ হয়। তবে যেসব হাদীসে কুলক্ষণকে নাকোচ করা হয়েছে এ হাদীস তার বিরোধী নয়। মিরক্বাতুল মাফাতীহে এভাবেই এসেছে। এ তিনটি জীবনের অনিবার্য উপকরণের সাথেও নানা ধরনের বিপদাপদ লেগে থাকে, তবুও কেউ অশুভ লক্ষণের ধারণায় এগুলোকে বর্জন করে না। এজন্য তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যদি তোমাদের করো বাড়ি থাকে আর সে তাতে বসবাস করা অপছন্দ করে অথবা ঘোড়া থাকে সে তাতে আরোহণ করা অপছন্দ করে তবে যেন সে বাড়ী থেকে বেরিয়ে অন্য চলে যায়, তার স্ত্রীকে ত্বলাক দিয়ে দেয় এবং তার ঘোড়াটি বিক্রি করে দেয়। এও বলা হয় যে, বাড়ীর অকল্যাণ হলো তার সংকীর্ণতা এবং খারাপ প্রতিবেশী। আর স্ত্রীর অকল্যাণ হলো সন্তান জন্ম না হওয়া। আর ঘোড়ার অকল্যাণ হলো তার উপর চড়তে না দেয়া। (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৩৯১৬-৩৯১৭)