৪৫৮১

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - শুভ ও অশুভ লক্ষণ

৪৫৮১-[৬] ’আমর ইবনু শারীদ (রহিমাহুল্লাহ) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, সাক্বীফ দলের মধ্যে একজন কুষ্ঠরোগী ছিল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কাছে লোক পাঠিয়ে এ সংবাদ জানিয়ে দিলেন যে, আমি অবশ্যই তোমার বায়’আত নিয়েছি (বায়’আত করার প্রয়োজন নেই)। সুতরাং তুমি চলে যাও। (মুসলিম)[1]

بَابُ الْفَأْلِ وَالطِّيَرَةِ

وَعَنْ عَمْرِو بْنِ الشَّرِيدِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: كَانَ فِي وَفْدِ ثَقِيفٍ رَجُلٌ مَجْذُومٌ فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّا قد بايعناك فَارْجِع» . رَوَاهُ مُسلم

وعن عمرو بن الشريد عن ابيه قال: كان في وفد ثقيف رجل مجذوم فارسل اليه النبي صلى الله عليه وسلم: «انا قد بايعناك فارجع» . رواه مسلم

ব্যাখ্যাঃ সহীহুল বুখারীতে অন্য একটি হাদীসে এসেছে, وَفِرَّ مِنَ الْمَجْذُومِ فِرَارَكَ مِنَ الْأَسَدِ তুমি কুষ্ঠরোগী থেকে পলায়ন কর যেভাবে তুমি বাঘ থেকে পালাও। لاعدوى ‘‘কোন সংক্রামক রোগ নেই’’ অধ্যায়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এটি لايورد مُمْرِضٌ عَلَى مُصِحٍّ এর বিপরীত নয়।

কাযী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ কুষ্ঠরোগীর ঘটনায় বিভিন্ন আসার (সাহাবীগণের বর্ণনা) এসেছে। আর উল্লেখিত হাদীস দু’টি প্রমাণিত হয়েছে। আর জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুষ্ঠ রোগীর সাথে খেয়েছেন। আর তাকে বলেছিলেন, তুমিও খাও আল্লাহর ওপর বিশ্বাস রেখে এবং তারই ওপর তাওয়াক্কুল কর।

মা ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেনঃ আমার মুক্ত দাসী আমার সাথে আমার পেস্নটে খেত আমার পাত্রে পান করত এবং আমার বিছানায় ঘুমাত।

কাযী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ ‘উমার  ও অন্যান্য সালাফ বলেন, কুষ্ঠরোগীর সাথে খাওয়া যায়। আর তারা মনে করেন তাকে এড়িয়ে চলার নির্দেশ রহিত হয়ে গেছে। সহীহ কথা হলো, সেটি অধিকাংশের বক্তব্য আর তা হলো এটি রহিত হয়ে যায়নি। বরং উভয় হাদীসের মধ্যে সমন্বয় দরকার। কুষ্ঠরোগী থেকে পালানোর নির্দেশ ও তার থেকে দূরে থাকার নির্দেশ সতর্কতামূলক মুস্তাহাব এটা ওয়াজিব নয়। আর তার সাথে খাওরা এটি জায়িয বর্ণনা করার জন্য। মহান আল্লাহই ভালো জানেন।

কাযী (রহিমাহুল্লাহ) আরো বলেনঃ কতক ‘উলামা বলেন, এ হাদীসটি এবং এ জাতীয় আরো হাদীস দ্বারা সাব্যস্ত হয় যে, যদি কোন মহিলার স্বামীর কুষ্ঠরোগ হয় তবে তার বিবাহ ঠিক রাখা না রাখার ইখতিয়ার বা স্বাধীনতা আছে। কাযী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ তারা বলেছেন, তাকে মসজিদে যেতে বাধা দেয়া হবে এবং মানুষের সাথে মিশতেও বাধা দেয়া হবে। মোট কথা বেশি লোকের সমাবেশে তারা অপছন্দ করে তবে তার যোগদান ঠিক নয়। আর জুমু‘আর সালাতের জন্য মসজিদে যেতে তাকে নিষেধ করা যাবে না। (শারহুন নাবাবী ১৪, হাঃ ২২৩১)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আমর ইবনু শারীদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৩: চিকিৎসা ও ঝাড়-ফুঁক (كتاب الطب والرقى)