পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৪৫৬৭-[৫৪] ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন এক রাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত আদায় করছিলেন, এ অবস্থায় তিনি জমিনে তাঁর হাত রাখতেই একটি বিচ্ছু তাঁকে দংশন করল। তৎক্ষণাৎ তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জুতা দ্বারা বিচ্ছুটিকে মেরে ফেললেন। অতঃপর সালাত শেষ করে বললেনঃ বিচ্ছুটির ওপর আল্লাহর লা’নাত হোক। সে সালাত আদায়কারী-অনাদায়কারী অথবা বলেছেনঃ নবী কিংবা অন্য কাউকেও ছাড়ে না। অতঃপর তিনি কিছু লবণ ও পানি চেয়ে নিলেন এবং তা একটি পাত্রে মিশালেন, অতঃপর অঙ্গুলির দংশিত স্থানে পানি ঢালতে এবং উক্ত স্থান মুছতে লাগলেন এবং মু’আব্বাযাতায়ন (সূরাহ্ ফালাক ও নাস) দ্বারা ঝাড়তে লাগলেন। (বায়হাক্বী হাদীস দু’টি ’’শু’আবুল ঈমানে’’ বর্ণনা করেছেন।)[1]
الْفَصْلُ الثَّالِثُ
وَعَن عَليّ قَالَ: بَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ لَيْلَةٍ يُصَلِّي فَوَضَعَ يَدَهُ عَلَى الْأَرْضِ فَلَدَغَتْهُ عَقْرَبٌ فَنَاوَلَهَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَعْلِهِ فَقَتَلَهَا فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ: «لَعَنَ اللَّهُ الْعَقْرَبَ مَا تَدَعُ مُصَلِّيًا وَلَا غَيْرَهُ أَوْ نَبِيًّا وَغَيْرَهُ» ثُمَّ دَعَا بملحٍ وماءٍ فَجعله فِي إِناءٍ ثمَّ جَعَلَ يَصُبُّهُ عَلَى أُصْبُعِهِ حَيْثُ لَدَغَتْهُ وَيَمْسَحُهَا وَيُعَوِّذُهَا بِالْمُعَوِّذَتَيْنِ. رَوَاهُمَا الْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَانِ
ব্যাখ্যাঃ ইমাম জাযারী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতরত অবস্থায় একটা বিচ্ছু তাকে কামড় দিলে সালাত শেষ করে তিনি বললেন, বিচ্ছুটির ওপর আল্লাহর লা‘নাত। সে সালাত আদায়কারী বা অন্য কাউকে ছেড়ে দেয় না। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পানি ও লবণ নিয়ে আসতে বললেন, এরপর তিনি তার উপর মাসাহ করেছিলেন আর পড়ছিলেন সূরাহ্ আল ফালাক ও সূরাহ্ আন্ নাস। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাপে কাটা রোগীকে ফাতিহাহ্ সূরাহ্ দ্বারা ঝাড়ফুঁক করতেন। আবূ সা‘ঈদ হতে সহীহ হাদীসের লেখকগণ তা বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযী বৃদ্ধি করেছেন যে, সাতবার। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
আলোচ্য হাদীসটি হতে বুঝা যায়, সালাতরত অবস্থায়ও সাপ-বিচ্ছু তথা বিষাক্ত প্রাণী হত্যা করা যায়। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতরত অবস্থায় জুতা দিয়ে বিচ্ছুটিকে হত্যা করেন। তাই এরূপ অবস্থার সম্মুখীন হলে আগে বিষাক্ত প্রাণীকে হত্যা করে নিয়ে পরে সালাত আদায় করতে হবে। [সম্পাদক]