৪৫৬১

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৪৫৬১-[৪৮] শিফা বিনতু ’আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হাফসাহ্ (রাঃ)-এর নিকট বসা ছিলাম, এমন সময় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেখানে প্রবেশ করে বললেনঃ তুমি যেভাবে হাফসাকে হস্তলিপি শিখিয়েছ, সেভাবে তাকে নামলাহ্ রোগের মন্ত্র শিখাও না কেন? (আবূ দাঊদ)[1]

الْفَصْلُ الثَّانِي

وَعَن الشَّفاءِ بنت عبد الله قَالَتْ: دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا عِنْدَ حَفْصَةَ فَقَالَ: «أَلَا تُعَلِّمِينَ هَذِهِ رُقْيَةَ النَّمْلَةِ كَمَا عَلَّمْتِيهَا الْكِتَابَةَ؟» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعن الشفاء بنت عبد الله قالت: دخل رسول الله صلى الله عليه وسلم وانا عند حفصة فقال: «الا تعلمين هذه رقية النملة كما علمتيها الكتابة؟» . رواه ابو داود

ব্যাখ্যাঃ (رُقْيَةَ النَّمْلَةِ) এটা এমন ফোসকা- যা এক পার্শ্বদেশে অথবা দুই পার্শ্বদেশে হয়। (رُقْيَةَ النَّمْلَةِ) এমন কথা যাকে ‘আরবের মহিলারা ব্যবহার করত এবং শ্রোতারা জানত যে, এসব বাক্য কোন উপকার বা ক্ষতি করতে পারে না ব্যক্তির শানে যে এমন কথা শুনেছে যা কোন উপকার বা ক্ষতি করে না। (رُقْيَةَ النَّمْلَةِ) ‘আরব মহিলাদের নিকট পরিচিত ব্যবহৃত শব্দ এভাবে যে, নববধূকে বলা হত, তুমি উদযাপন করবে, মেহেদী লাগাবে ও সুরমা লাগাবে। এ সকল কাজ তারা করত পুরুষের অবাধ্যতা না করেই। সুতরাং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথাটি হাফসাকে আদব শিক্ষা দেয়ার জন্য পেশ করেন। কেননা তিনি তার নিকটে গোপনে প্রবেশ করে যা তিনি দেখেন তা প্রকাশ করেন। ইমাম শাওকানী এ কথা বলেছেন। (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৩৮৮৩; মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৩: চিকিৎসা ও ঝাড়-ফুঁক (كتاب الطب والرقى)