পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪৫৩৪-[২১] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আস্’আদ ইবনু যুরারাহ্-এর গায়ে অগ্নি-বাতের দরুন তপ্ত লোহা দিয়ে দাগিয়েছেন। (তিরমিযী এবং তিনি বলেছেনঃ এ হাদীসটি গরীব)[1]
الْفَصْلُ الثَّانِي
وَعَنْ أَنَسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَوَى أَسْعَدَ بْنَ زُرَارَةَ مِنَ الشَّوْكَةِ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيث غَرِيب
ব্যাখ্যাঃ এর পরিচয়ে আন্ নিহায়াহ্ গ্রন্থে বলা হয়েছে, মুখমণ্ডলে ও শরীর লাল হয়ে যাওয়া- (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ২০৫০)। এ রোগ হলে শরীর খুব ব্যথা হয়। ডাক্তারগণ এটাকে আগুন বা অগ্নিবাত বলেন। [সম্পাদক]
অত্র হাদীস দ্বারা বুঝা গেল যে, কায় বা গরম লোহা দ্বারা দাগ দেয়া বৈধ।
ইমাম শাওকানী (রহিমাহুল্লাহ) তাঁর ‘‘নায়লুল আওত্বার’’ কিতাবে বলেছেন, ‘কায়’-এর ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা এসেছে আবার অনুমতিও দেয়া হয়েছে। সা‘দ (রাঃ)-কে অনুমতি দেয়াটা প্রমাণ করে, এ কাজটি জায়িয। আর তা সৎ ব্যক্তির জন্য। যে ব্যক্তি আরোগ্য লাভের জন্য চিকিৎসা স্বরূপ অন্য কোন ঔষধ ব্যবহার করতে সক্ষম না হয়। কিন্তু এ কাজ করা নিষেধ ঐ ব্যক্তির জন্য যে আরোগ্য লাভের জন্য অন্য ঔষধ ব্যবহার করতে সক্ষম। কারণ এতে আগুনের মাধ্যমে কষ্ট দেয়া হয়।
কায় তথা দাগ দেয়ার ব্যাপারে চার ধরনের কথা এসেছে। প্রথমঃ এটা করা নিষেধ, দ্বিতীয়ঃ এটা করা জায়িয। তৃতীয়ঃ এটা ছেড়ে দেয়াকে প্রশংসা করা হয়েছে। যেমন- সত্তর হাজার লোক যারা বিনা হিসেবে জান্নাতে যাবে, তাদের মধ্যে যারা এ কাজ করে না। চতুর্থতঃ এ কাজ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পছন্দ নয়। যেমন- বুখারী মুসলিমের হাদীস- আমি উত্তপ্ত লোহা দ্বারা দাগ দেয়া পছন্দ করি না। সুতরাং তার পছন্দ না হওয়াটা প্রমাণ করে এটা না করাই উত্তম। আর এ কাজ ছেড়ে দেয়াকে প্রশংসা করা প্রমাণ করে এটা ছেড়ে দেয়াই উত্তম। সুতরাং দুই হাদীসের মধ্যে (দাগ দেয়ার ও না দেয়ার ব্যাপারে) কোন দ্বন্দ্ব থাকে না। (তুহফাতুল আহ্ওযায়ী ৫ম খন্ড, হাঃ ২০৫০)