৪৫২৯

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

৪৫২৯-[১৬] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মন্তর তথা ঝাড়ফুঁক করা হতে নিষেধ করেছেন। (এ নিষেধের পর) ’আমর ইবনু হাযম-এর বংশের কয়েকজন লোক এসে বলল : হে আল্লাহর রসূল! আমাদের কাছে এমন একটি মন্ত্র আছে, যার দ্বারা আমরা বিচ্ছুর দংশনে ঝাড়ফুঁক করে থাকি। অথচ আপনি মন্তর পড়া হতে নিষেধ করেছেন। অতঃপর তারা মন্ত্রটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে পড়ে শুনাল। তখন তিনি বললেনঃ আমি তো এটার মধ্যে দোষের কিছু দেখছি না। অতএব, তোমাদের যে কেউ নিজের কোন ভাইয়ের কোন উপকার করতে পারে, সে যেন অবশ্যই তার উপকার করে। (মুসলিম)[1]

الْفَصْلُ الْأَوَّلُ

وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الرُّقَى فَجَاءَ آلُ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهُ كَانَتْ عِنْدَنَا رُقْيَةٌ نَرْقِي بِهَا مِنَ الْعَقْرَبِ وَأَنْتَ نَهَيْتَ عَنِ الرُّقَى فَعَرَضُوهَا عَلَيْهِ فَقَالَ: «مَا أَرَى بِهَا بَأْسًا مَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ أَنْ يَنْفَعَ أَخَاهُ فَلْيَنْفَعْهُ» . رَوَاهُ مُسْلِمٌ

وعن جابر قال نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم عن الرقى فجاء ال عمرو بن حزم فقالوا يا رسول الله انه كانت عندنا رقية نرقي بها من العقرب وانت نهيت عن الرقى فعرضوها عليه فقال ما ارى بها باسا من استطاع منكم ان ينفع اخاه فلينفعه رواه مسلم

ব্যাখ্যাঃ এ হাদীসটি হতে বুঝা যায় যে, যে ঝাড়ফুঁকের মধ্যে কোন কুফরী কালাম, শির্কী শব্দ না থাকে, সে ঝাড়ফুঁক দ্বারা মানুষের চিকিৎসা করা বৈধ। আর যে ঝাড়ফুঁকের শব্দ গুলো বুঝা যায় না, তাতে শির্ক থাকার সম্ভাবনা থাকে। সুতরাং এ জাতীয় শির্কী মন্ত্র দ্বারা ঝাড়ফুঁক করা হারাম। এ থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। পক্ষান্তরে যে মন্ত্র শির্কমুক্ত তা দ্বারা ঝাড়ফুঁক করা উত্তম কাজ। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- ‘‘তোমাদের যে কেউ নিজের কোন ভাইয়ের কোন উপকার করতে পারে, সে যেন অবশ্যই তার উপকার করে, নিঃসন্দেহে শির্কমুক্ত ঝাড়ফুঁক একটি বড় উপকারমূলক কাজ, যা মানুষের জীবনের ক্ষেত্রে উপকারে আসে।’’ সুতরাং শির্কমুক্ত ঝাড়ফুঁক করে সমাজকে শির্কমুক্ত করে সুস্থ সমাজ গঠন করা প্রত্যেক ঝাড়ফুঁককারীর জন্য জরুরী। [সম্পাদক]


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৩: চিকিৎসা ও ঝাড়-ফুঁক (كتاب الطب والرقى)