পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো
৪৪৫১-[৩৩] আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বার্ধক্যকে পরিবর্তন করার জন্য সবচেয়ে উত্তম বস্তু হলো মেহেদী ও কাতাম (ঘাস)। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ ও নাসায়ী)[1]
وَعَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ أَحْسَنَ مَا غُيِّرَ بِهِ الشَّيْبُ الْحِنَّاءُ وَالْكَتَمُ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ
ব্যাখ্যাঃ (الْحِنَّاءُ وَالْكَتَمُ) ‘হিন্না’ অর্থাৎ মেহেদী। আর كتم শব্দটির ‘ت’ হরফে তাশদীদ অর্থাৎ ‘কাত্তামুন’ এবং তাকে সাকিন করে ‘কাতমুন’ পড়া যায়। তবে ‘কাতমুন’ উচ্চারণই প্রসিদ্ধ বলে উল্লেখ করেন হাদীসের ব্যখ্যাকারগণ। এটি একটি উদ্ভিদ যা রঞ্জকের কাজে ব্যবহৃত হয়। তবে এর দ্বারা কোন রং হয় এ নিয়ে ব্যাখ্যাকারগণদের নিকট বিভিন্ন মতামত পাওয়া যায়। সম্ভবত এই উদ্ভিদের বিভিন্ন প্রকার রয়েছে যার একেকটি একেক রং ধারণ করে বলেই বিভিন্ন মতামতের সৃষ্টি হয়েছে। এই রঞ্জক পদার্থের রং লাল, সবুজ, কালো, লাল সবুজের মাঝামাঝি কালচে রং হয় বলে বিভিন্ন মত রয়েছে। তবে কালো রঙের খিযাব ব্যবহারে আপত্তি রয়েছে বলে আমরা দেখে এসেছি এবং সামনে দেখব। অথচ এ হাদীসে ‘কাতমুন’ দ্বারা চুলের শুভ্রতা পরিবর্তনকে সবচেয়ে ভালো বলা হয়েছে। তাই এখানে কাতমুন দ্বারা সবুজ বা কালচে রঙ ধারণকারী উদ্ভিদ উদ্দেশ্য নিতে হবে। তবে যারা মনে করেন এর রং কালো হয় তাদের কেউ কেউ এ হাদীস দ্বারা কালো খিযাবের বৈধতা দিয়ে থাকেন। আবার কেউ কেউ বলেন, কেবল ‘কাতমুন’ এর রং নিরেট কালো হলেও তাকে মেহেদীর সাথে মিশালে তার রঙটি নিরেট কালো থেকে সরে লাল কালচে রং ধারণ করে। আর হাদীসে মেহেদী এবং কাতাম উভয়টি মিশ্রিত করে ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। আর উভয়টি মিশ্রিত করলে রং নিরেট কালো হয় না। আর নিরেট কালো ব্যতীত অন্য কোন রঞ্জক দ্বারা চুল রং করা নিষিদ্ধ নয়। বরং এর প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। আবার কেউ কেউ মনে করেন, কাতাম বলতে তাকে ‘ওসমাহ্’ উদ্ভিদের সাথে মিশ্রিত করে ব্যবহার। উভয়টি মিশালে রং পুরো কালো হয় বরং লাল কালচে হয়। (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৪২০১; মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
খিযাব দ্বারা চুলের শুভ্রতা পরিবর্তনের আরো আলোচনা প্রথম অনুচ্ছেদে করা হয়েছে। বিধায় এখানে আর দীর্ঘ করার প্রয়োজন নেই।