৪৪৩৯

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো

৪৪৩৯-[২১] ’আমর ইবনু শু’আয়ব (রহঃ) তাঁর পিতা হতে, তিনি তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেন : নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় দাড়ির প্রস্থ এবং দৈর্ঘ্য হতে ছেঁটে নিতেন। (তিরমিযী এবং তিনি বলেছেনঃ এ হাদীসটি গরীব)[1]

وَعَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَأْخُذُ مِنْ لِحْيَتِهِ مِنْ عَرْضِهَا وَطُولِهَا. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ

وعن عمرو بن شعيب عن ابيه عن جده: ان النبي صلى الله عليه وسلم كان ياخذ من لحيته من عرضها وطولها. رواه الترمذي وقال: هذا حديث غريب

ব্যাখ্যাঃ (هٰذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ) হাদীসটি দুর্বল। কেননা এর ভিত্তি হলো ‘উমার ইবনু হারূন-এর ওপর। আর মুহাদ্দিসীনে কিরামের মতে তিনি পরিত্যাজ্য। ‘আল্লামা ইবনু হাজার ফাতহুল বারীতে এ হাদীসটি উল্লেখের পর বলেন, হাদীসটি ইমাম তিরমিযী বর্ণনা করেন এবং এর সম্পর্কে বুখারীর মত বর্ণনা করেন যে, ইমাম বুখারী ‘উমার ইবনু হারূন-এর বর্ণনার ক্ষেত্রে বলেন, তার এ হাদীস ছাড়া আমি অন্য কোন মুনকার হাদীস পাইনি। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৭ম খন্ড, হাঃ ২৭৬০)

দাড়ি একমুষ্টি পার হলে তা কাটা বৈধ অবৈধের আলোচনা অধ্যায়ের শুরুতে করা হয়েছে। ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বিশুদ্ধভাবে প্রমাণের ভিত্তিতে অধিকাংশ ‘আলিম তা কাটা বৈধ মনে করেন। আবার রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এক মুষ্টির উপরে কাটা প্রমাণিত নয় বলে অনেকে তা বৈধ মনে করেন না। বর্ণিত হাদীসটি বিশুদ্ধ হলে এই মতভেদের মীমাংসা হয়ে যেত। কিন্তু হাদীসটি বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় এ হাদীস দিয়ে কেউই দাড়ি এক মুষ্টির উপর হলে কর্তন জায়িয প্রমাণ করেন না। বরং যারা বৈধ হওয়ার পক্ষ তারা ইবনু ‘উমার -এর কর্ম দিয়ে দলীল পেশ করেন। তাই দাড়ি না কাটার মাঝেই অধিক সতর্কতা এতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।


হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২২: পোশাক-পরিচ্ছদ (كتاب اللباس )