৪৪৩৬

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো

৪৪৩৬-[১৮] নাফি’ (রহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন ইবনু ’উমার (রাঃ) (ঘরের মধ্যে) ধুনচি ব্যবহার করতেন, তখন খোশবুদার কাঠের (চন্দন, আগর ইত্যাদি) অবিমিশ্র ধুনি জ্বালাতেন আর কখনো তার সাথে কর্পূর ঢেলে দিতেন এবং বলতেন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এভাবে ধুনি ব্যবহার করতেন। (মুসলিম)[1]

بَابُ التَّرَجُّلِ

وَعَنْ نَافِعٍ قَالَ: كَانَ ابْنُ عُمَرَ إِذَا اسْتَجْمَرَ اسْتَجْمَرَ بِأَلُوَّةٍ غَيْرِ مُطَرَّاةٍ وَبِكَافُورٍ يَطْرَحُهُ مَعَ الْأَلُوَّةِ ثُمَّ قَالَ: هَكَذَا كَانَ يَسْتَجْمِرُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. رَوَاهُ مُسلم

وعن نافع قال: كان ابن عمر اذا استجمر استجمر بالوة غير مطراة وبكافور يطرحه مع الالوة ثم قال: هكذا كان يستجمر رسول الله صلى الله عليه وسلم. رواه مسلم

ব্যাখ্যাঃ (اسْتَجْمَرَ) ধুনচি দ্বারা ধুন দিয়ে সুগন্ধি ব্যবহারকে ‘ইসতিজমার’ বলা হয়। আর ألوة হচ্ছে সুগন্ধি কাঠ যা জ্বালিয়ে ধুন দেয়া হয়। সুগন্ধি কাঠ জ্বালিয়ে তার ধোয়ার মাধ্যমে ঘর, কাপড়, শরীর ইত্যাদি সুগন্ধময় করার নাম ‘ইসতিজমার’। হাদীসের মর্ম হলো, ইবনু ‘উমার সুগন্ধি কাঠের ধূপের মাধ্যমে যখন সুগন্ধ ব্যবহার করতেন তখন এ সুগন্ধি কাঠের সাথে অন্য কোন সুগন্ধির মিশ্রণ করতেন না বা সেই কাঠে কর্পূর ঢালতেন না।

ইমাম নাবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হলো যে, পুরুষের জন্য সুগন্ধি ব্যবহার সুন্নাত, যেমন তা মহিলাদের জন্য সুন্নাত। তবে পুরুষের ক্ষেত্রে সুন্নাত হলো ঐ সুগন্ধি যার সুবাস ছড়ায় কিন্তু রং প্রকাশ পায় না। আর মেয়েরা যখন ঘর থেকে মসজিদ বা অন্য কোথায় যাওয়ার জন্য বের হতে চাইবে তখন তার জন্য সুবাস ছড়ায় এমন যে কোন সুগন্ধি ব্যবহার নিষিদ্ধ। আবার পুরুষের জন্য সুগন্ধি ব্যবহারের গুরুত্ব জুমু‘আহ্, ঈদ, আলোচনার মাহফিল, স্ত্রীর নিকট গমন এবং মুসলিমদের সমাবেশের সময় অধিক। (শারহুন নাবাবী ১৫শ খন্ড, হাঃ ২২৫৪)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ নাফি‘ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২২: পোশাক-পরিচ্ছদ (كتاب اللباس )