পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো
৪৪২৪-[৬] জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন (আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ)-এর পিতা) আবূ ক্বুহাফাকে (মুসলিম বানানোর জন্য) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সম্মুখে উপস্থিত করা হলো। সে সময় তাঁর মাথার চুল ও দাড়ি সুগামার (কাশফুলের) মতো একেবারে সাদা ছিল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ কোন কিছুর দ্বারা তার চুল দাড়ির শুভ্রতাকে পরিবর্তন করে দাও। তবে কালো রং ব্যবহার করো না। (মুসলিম)[1]
بَابُ التَّرَجُّلِ
وَعَن جَابر قَالَ: أُتِيَ بِأَبِي قُحَافَةَ يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ وَرَأْسُهُ وَلِحْيَتُهُ كَالثُّغَامَةِ بَيَاضًا فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «غَيِّرُوا هَذَا بِشَيْءٍ وَاجْتَنِبُوا السَّواد» . رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যাঃ বর্ণিত হাদীসটি কালো খিযাব ব্যবহার হারাম হওয়ার স্বপক্ষের দলীল। ইমাম মুসলিম (রহিমাহুল্লাহ) হাদীসটি বর্ণনা করতে অনুচ্ছেদটি এভাবে রচনা করেন, ‘লাল বা হলুদ দিয়ে চুল খিযাব করা মুস্তাহাব এবং কালো দিয়ে খিযাব করা হারাম অনুচ্ছেদ’। ইমাম নাবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ আমাদের মাযহাব হলো, মহিলা ও পুরুষের জন্য চুলের শুভ্রতায় হলুদ ও লাল খিযাব ব্যবহার মুস্তাহাব। আর আমাদের মাযহাবের বিশুদ্ধ মতে কালো খিযাব ব্যবহার হারাম। (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৪১৯৯) উপরোল্লিখিত হাদীসে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।