৪৪১৯

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো

৪৪১৯-[১] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ঋতুবতী অবস্থায় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মাথা চিরুনি করে দিতাম। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ التَّرَجُّلِ

عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: كُنْتُ أُرَجِّلُ رَأْسَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا حَائِض

عن عاىشة رضي الله عنها قالت: كنت ارجل راس رسول الله صلى الله عليه وسلم وانا حاىض

ব্যাখ্যাঃ (أرجل) আরবী শব্দ (التَّرْجِيْل) থেকে নির্গত, যার অর্থ হলো : চিরুনি করা, চুলে তেল ব্যবহার করা। অতএব এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, ই‘তিকাফরত ব্যক্তির জন্য পরিচ্ছন্নতা অর্জন, সুগন্ধি ব্যবহার, গোসল, চুল কামানো ও সাজ-সজ্জা অবলম্বন করা জায়িয। চুল চিরুনি করার উপর ভিত্তি করে এগুলোর বৈধতা প্রমাণিত হয়। জামহূর ‘উলামার মতে ই‘তিকাফ অবস্থায় ই‘তিকাফরত ব্যক্তির জন্য কেবল ঐসব বিষয় মাকরূহ যা মসজিদে ই‘তিকাফ ছাড়া অবস্থায় মাকরূহ। কেবল ই‘তিকাফের কারণে মসজিদের ভিতর কোন কিছু মাকরূহ হয় না।

ইমাম মালিক (রহিমাহুল্লাহ) থেকে পাওয়া যায় যে, ই‘তিকাফরত ব্যক্তির জন্য নিজ পেশার কাজ কর্ম করা মাকরূহ, এমনকি পেশাগত শিক্ষা করানোও।

এ হাদীস থেকে আরো প্রমাণিত হয় যে, কেউ যদি তার শরীরের কিছু অংশ মসজিদ থেকে বের করে, তবে তার ই‘তিকাফ নষ্ট হবে না। ই‘তিকাফ বিশুদ্ধতায় এতে দোষের কিছু নেই।

খত্ত্বাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এ হাদীস থেকে এই ফিকহী মাসআলাহ্ বের হয় যে, ই‘তিকাফরত ব্যক্তির জন্য পায়খানা বা প্রসাবের প্রয়োজন ছাড়া মসজিদ থেকে বের হওয়া জায়িয নয়। এ হাদীস থেকে ই‘তিকাফরত ব্যক্তির জন্য চিরুনি করা ও ময়লা পরিষ্কার করার বৈধতা পাওয়া যায়। হাদীস থেকে আরো বুঝা যায় যে, হায়য বা ঋতুবতী মহিলার শরীর পাক, নাপাক নয়। অর্থাৎ শরীরের বাহ্যিক অংশ নাপাক নয়। কেননা ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) ঋতুগ্রস্ত অবস্থায় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চুল চিরুনি করে দিতেন বলে হাদীসে বলা হচ্ছে। (‘আওনুল মা‘বূদ ৪র্থ খন্ড, হাঃ ২৪৬৬)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২২: পোশাক-পরিচ্ছদ (كتاب اللباس )