৪৩৭৮

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

৪৩৭৮-[৭৫] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুধু রেশমের তৈরি কাপড় পরতে নিষেধ করেছেন। তবে (চার আঙ্গুল পরিমাণ) রেশমের ঝালর অথবা কাপড়ে নকশা হিসেবে ব্যবহারে কোন দোষ নেই। (আবূ দাঊদ)[1]

الْفَصْلُ الثَّالِثُ

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: إِنَّمَا نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ثَوْبِ الْمُصْمَتِ مِنَ الْحَرِيرِ فَأَمَّا الْعَلَمُ وَسَدَى الثَّوْبِ فَلَا بَأْسَ بِهِ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعن ابن عباس رضي الله عنهما قال: انما نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم عن ثوب المصمت من الحرير فاما العلم وسدى الثوب فلا باس به. رواه ابو داود

ব্যাখ্যাঃ ইবনু রসলান বলেন, (الثَّوْبُ الْمُصْمَتِ مِنَ الْحَرِيرِ) অর্থ হচ্ছে নিরেট রেশমের তৈরি কাপড়। যে কাপড়ে অন্য কোন উপাদান নেই। কিন্তু ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ ‘‘আস্ সাওবুল মুসমাত মিনাল হারীর’’ হলো যে কাপড়ের শুধু লম্বার দিকের ঝালর বা প্রস্তের দিকের ঝালর রেশমী সূতায় তৈরি। মূলকথা হলো লম্বার দিকের ঝালর যদি রেশমের হয় কিন্তু প্রস্তের দিকের ঝালর রেশমী সূতার না হয়ে অন্য কোন সূতা বা পশমের হয় তাহলে কোন সমস্যা নেই। কারণ প্রস্তের দিকের ঝালর ছাড়া কাপড় পূর্ণতা পায় না। এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, যদি সামান্য কিছু রেশমী ঝালর হিসেবে কাপড়ে ব্যবহার করা হয় তা পুরুষের জন্য হারাম হবে না। এটি সংখ্যাগরিষ্ঠ ‘উলামার মত। তারা চার আঙ্গুল পরিমাণ রেশম ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন। তবে সাহাবীগণের মধ্যে কেউ কেউ যেমন ইবনু ‘উমার (রাঃ) আবার তাবি‘ঈদের মধ্য থেকে কেউ কেউ যেমন ইবনু সীরীন প্রমুখ এই সামান্য রেশমী ব্যবহারও পুরুষের জন্য হারাম মনে করেন। তারা দলীল দেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ক্বিস্‌সী কাপড় পরতে নিষেধ করেছেন। কিস্‌সী কাপড় হলো যে কাপড়ের সাথে রেশমীর সংমিশ্রণ রয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা ইতিপূর্বে হয়ে গেছে। (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৪০৫১)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২২: পোশাক-পরিচ্ছদ (كتاب اللباس )